ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা থাকার অধিকারের উপর জোর দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের মতে জাখারোভা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক হুমকি কোনও অনুমান নয়, তবে এর বাস্তব ও বাস্তব মাত্রা রয়েছে এবং এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সমস্ত আক্রমণ কেবল উত্তেজনা বৃদ্ধি করে না বরং অঞ্চল ও বিশ্বের জন্যও সরাসরি হুমকি।
এদিকে, জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি গেনাডি গ্যাটিলভ ইরানের উপর ইসরায়েলি সরকারের আক্রমণের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে ইসরায়েলি আগ্রাসী পদক্ষেপ সম্পর্কে অস্পষ্টতা ছাড়াই আইনি ও রাজনৈতিক মূল্যায়ন প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়া এবং অন্যান্য কিছু দেশের গঠনমূলক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, সবচেয়ে নেতিবাচক এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ঘটতে চলেছে এবং এর বড় প্রতিক্রিয়া কেবল মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য হতে পারে, তিনি যোগ করেন।
১৩ জুন রাতে ইসরায়েলি সরকার বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন চালিয়ে ইরানের ভূখণ্ড, আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালায়। লক্ষ্যবস্তু হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। সরাসরি ঘরবাড়িতে আঘাত হানার ফলে বেসামরিক নাগরিকরা মারা যান। পুরো জনবহুল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি একই দিনের পরে নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ করেন এবং বলেন, ইসরায়েলের জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে। এর কিছুক্ষণ পরেই, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের জন্য "নরকের দরজা খুলে দেওয়ার" প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলের অভ্যন্তরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে।
সজিব
