ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানি

রিপন ইসলাম শেখ, নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ১৮ জুন ২০২৫

নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানি

ছবি: জনকণ্ঠ

নীলফামারী জেলায় আজ পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এবং অপরজন একজন তরুণ।

প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের কলাবাগান এলাকায়। ইটভাটার কাজ শেষে ফেরার পথে নূর ইসলাম (৪৮) ও মাসুদ হোসেন (২৫) নামের দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে শ্যামলী পরিবহনের একটি নৈশ কোচ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। কোচটি দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেলটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিহত মাসুদ হোসেন সৈয়দপুর উপজেলার দলুয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বুদারু মাহমুদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ইটভাটায় ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নূর ইসলামও একই ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক কোচ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্যামলী পরিবহনের ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতের উদ্ধারের পর বাসটি আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে যায়। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অন্যদিকে, সকালেই ডিমলা উপজেলার ডাঙ্গারহাট এলাকায় আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। উপজেলার রুপাহারা গ্রামের রাজু ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া (১৮) চলন্ত একটি ট্রাকের ওপর স্টিলব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মুমু ২

×