ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ভ্রমণ সুবিধা বাড়ান

অলিউর রহমান ফিরোজ

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১৮ জুন ২০২৫

ভ্রমণ সুবিধা বাড়ান

আমাদের প্রকৃতি তার রূপ ছন্দ নিয়ে অমাদের ডাকছে। নৈসর্গিক দৃশ্য আমাদের চারপাশটাকে ঘিরে রেখেছে। আমাদের ছয়টি ঋতুর বর্ণিল রূপ সুধায় প্রকৃতিতে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে। তবে তা অনেকের পক্ষেই সেই সোদা মাখা রূপ-রস আস্বাদন করা সম্ভব হয় না সময়ের অভাবে। তবে একটু ছুটির নোটিস পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে যান প্রকৃতির কোলে। পাহাড়, সমুদ্র, হাওড়-বিল পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় স্থান। সেখানে না যেতে পারলেই যেন ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ ক্ষুধা যেন মেটে না। দেশের মধ্যে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার জন্য সাজেক ভ্যালী আর সমুদ্রের জলরাশি উপভোগের জন্য রয়েছে কক্সবাজার বীচ। তাছাড়া চলনবিল, সিলেটের হিজলতলা, কিশোরগঞ্জের হাওড় এবং মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিল অনেক দর্শনীয় প্রকৃতি উপভোগের জন্য। তবে খুলনার সুন্দরবনে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রয়েছে আলাদা ধরনের একটা অনুভূতি। সেখানে ভ্রমণের জন্য অত্যাধুনিক এবং বিলাস বহুল আয়োজন রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সুন্দরবন ভ্রমণে এতো ব্যাপক আয়োজন আর কোথায়ও চোখে পড়ে না। জীববৈচিত্র্যের কারণে সুন্দরবন ভ্রমণপিসাসুদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটা স্থান। সেখানে নানা রঙের পাখ-পাখালীর দেখা মিলে, বন থেকে বনে ছুটে চলা চিত্রা হরিণের দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগও ঘটতে পারে ভাগ্য ভাল হলে। তাদের পাতা খাওয়ার দৃশ্যে বুঝিয়ে দেয় বনের হরিণীরা যেন পর্যটকদের কত আপন এবং চেনা জানা। প্রকৃতির অনবদ্য সব আয়োজনই রয়েছে সুন্দরবনে। 
তবে এতো এতো বর্ণিল আয়োজনের মধ্যেও রয়েছে কিছু অসংগতি। এবার ঈদের দীর্ঘ ছুটি পেয়ে বিশাল জনগোষ্ঠী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে হাজির হয়েছিল। কিন্তু হোটেলের আকাশছোঁয়া ভাড়া পর্যটকদের নাভিশ্বাস করে ছেড়েছে। ২ হাজার টাকার ভাড়া রাখা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে এক প্লেট খাবারের দাম ধরা হয়েছে ২৫০ টাকা। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ অনিহা তৈরি করতে পারে। সমুদ্র তীরের হোটেল ব্যবসায়ীরা বিপুল সংখ্যক পর্যটক পেয়ে কমাতে পারতো থাকা ও খাওয়ার খরচ। তাতে ভ্রমণপিপাসুদের মনে ভ্রমণে ইতিবাচক বার্তা যেত। সময় সুযোগ পেলেই তারা চলে আসতো সমুদ্রের তটে। কিন্তু তাদের আচার-আচরণ ছিল অনৈতিকতায় ভরা। তাই সমুদ্র সৈকতের অনিয়মের বেড়াজাল ভাঙতে প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে পর্যটক খাত সচল রাখার স্বার্থে। নইলে মুনাখোরদের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রকৃতির অপরূপ শোভা দেখা থেকে অনেকেই বিরত থাকবে। 

রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ থেকে

প্যানেল

×