সিলেটে জুবাইদা রহমানের জন্মদিনে ব্যতিক্রমী আয়োজন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে  সিলেটের গর্ব এবং সিলাম ইউনিয়নের অহংকার ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সার্বিকভাবে দিনটি পরিণত হয় এক আবেগঘন মিলনমেলায়, যেখানে নেতাকর্মীদের আন্তরিক ভালোবাসা, একাত্মতা ও শ্রদ্ধা ফুটে ওঠে প্রিয় নেত্রীর প্রতি।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, "ডা. জুবাইদা রহমান শুধু একজন চিকিৎসক নন, তিনি একজন মানবিক, শিক্ষিত ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের প্রতীক। তাঁর কর্মময় জীবন দেশের তরুণ প্রজন্মের অনুকরণীয়। আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ডা. জুবাইদা রহমানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষা ও প্রজন্মকে সচেতন করতে সহায়ক হবে।" তিনি বুধবার বিকেলে ২দিন ব্যাপী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী সিলেটের রত্নগর্ভা সন্তান ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম গাছ তথা জিয়া ট্রি রোপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, "বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে যখন দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে, তখন ডা. জুবাইদা রহমানের মতো শিক্ষিত, সুদক্ষ ও জনবান্ধব নেতৃত্বই এই জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারে। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিত্ব জাতীয় নেতৃত্বে আসা মানে দেশের ভবিষ্যৎ আরও আলোকিত হওয়া।"

বুধবার দুপুর ২টায় সিলাম ইউনিয়নের নিজ সিলাম পয়েন্টে সিলাম ইউনিয়ন,বিএনপির আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় প্রিয় নেত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে তাঁর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নিবেদন করেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ডা. জুবাইদা রহমান সিলাম ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান ও প্রাক্তন যোগাযোগ এবং কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা এ তিনি একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক, সমাজসেবী এবং জাতীয় পর্যায়ের গুণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন।

মহিলাদল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক, সিলেটের কৃতিসন্তান ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল।  বিকেল ৪টায় নগরীর উপশহর এলাকায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দোয়া মহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সিলেট জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাহসিন শারমিন তামান্না বলেন, "ডা. জুবাইদা রহমান একজন খ্যাতিমান ও মেধাবী চিকিৎসক। তাঁর পিতা রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান নৌবাহিনীর প্রধান ও দেশের মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর চাচা জেনারেল এমএজি ওসমানী সেনাপ্রধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ডা. জুবাইদা রহমানের পরিবারের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।"

সিলেট জেলা বিএনপির সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক সুলতানা রহমান দিনা বলেন, "শুধু দেশনায়ক তারেক রহমানের সহধর্মিণী হওয়ার কারণে বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম তাঁকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় নিজেদের তৈরিকৃত ক্যাঙ্গারো কোর্টে সাজা দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা ঠিকই বিচার করেছেন। ফ্যাসিস্ট রেজিম পালিয়ে গেছে। আর ডা. জুবাইদা রহমান সসম্মানে নিজ জন্মভূমিতে ঘুরে গেছেন।"

মহানগর বিএনপি
বিকেলে সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এসময় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, "সিলেটের রত্নগর্ভা কৃতি সন্তান ডা. জুবাইদা রহমান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখ্যাত ও শিক্ষার উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খ্যাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস করি অতীতের মত আগামীতেও ডা. জুবাইদা রহমান দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খ্যাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনাকালে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, " ডা. জুবাইদা রহমান শুধু তারেক রহমানের সহধর্মিণী নন, তিনি নিজ গুণে দেশের একজন সুনামধন্য চিকিৎসক ও আদর্শ নারী। বিশেষ করে ডা. জুবাইদা রহমান শিশুশিক্ষার মান উন্নয়নে বিগত দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।"

এসময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব।