ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ফটিকছড়ি-হাটহাজারীর ৫ টি বাজারে আনারসের হাট

নিজস্ব সংবাদদাতা,ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ১৮ জুন ২০২৫

ফটিকছড়ি-হাটহাজারীর ৫ টি বাজারে আনারসের হাট

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি

মৌসুমি ফল আনারসের মৌ মৌ মিষ্টি ঘ্রাণ মানুষের মনকে মুগ্ধ করছে। হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির পাহাড়ি অঞ্চলে আনারস তেমন উৎপাদন না হলেও এখানকার বড় বড় ৫ টি বাজারে আনারস দেদার বিক্রি হচ্ছে। বাজার গুলো হচ্ছে-ফটিকছড়ির হেয়াকো,বিবিরহাট ও নাজিরহাট এবং হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী সদর বাজার ও কামাল বাজার। এসব বাজারে পাইকারি এবং খুচরা দৈনিক শত শত টন আনারস  বিক্রি হচ্ছে।
বছরে গড়ে দেড় লাখ টনের অধিক আনারস উৎপাদন হয়ে থাকে পার্বত্য তিন জেলায়। বিভিন্ন মৌসুমি ফলের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত আনারসের সিংহভাগই চাষ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রাম ছাড়াও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- জেলার মৌসুমি ফল উৎপাদনে সুখ্যাতি অনেক আগে থেকেই। 
পাহাড়ে মূলত ‘জায়ান্ট কিউ’ ও ‘হানিকুইন’ এ দুই জাতের আনারস চাষ হয়ে থাকে। তবে কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, উৎপাদন ও স্বাদের দিক থেকে শীর্ষে আছে ‘হানিকুইন’। 
 পাহাড়ে উৎপাদিত এসব আনারসের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে।
প্রতিদিন ট্রাকে করে আনারস আসে ফিরিঙ্গিবাজার, ফলমণ্ডি, হেয়াকো, বিবিরহাট, নাজিরহাট,কামাল বাজার ও হাটহাজারী সদর বাজারের ফলের আড়তে। এসব আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আনারস নিয়ে যান।
আড়তদাররা জানান, আনারসের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার জোগান ভালো আড়তে।  আর দাম হাতের নাগালে থাকায় সব শ্রেণির ভোক্তারা কিনতেও পারে।
মাঝারি সাইজের আনারসের চাহিদা মূলত বেশি। তাই তার দামটাও আগের চেয়ে আড়তে বেড়েছে। মাঝারি সাইজের একটা আনারস গড়পড়তা ৩৫ টাকার মতো পড়ছে। 
তবে দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আড়তদারদের ভাষ্য, বাগান থেকে আনারস পরিবহনের সময় অনেকগুলো আনারস নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণেও আনারস তাড়াতাড়ি পচে যায়। এছাড়া,প্রচুর আনারস উৎপাদন হওয়ায় দেশের বিভিন্ন বাজার দখলে নিয়েছে পার্বত্য এলাকার আনারসে।

সাব্বির

×