
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সামরিক আগ্রাসনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সক্রিয় সমর্থন একটি বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়েই ইসরায়েল এমন এক কূটনৈতিক সুযোগ পেয়েছে, যেখানে তারা তুলনামূলকভাবে কম আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার ভয়ে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছে।
ঝুঁকি বিশ্লেষণ সংস্থা সিবিলাইনের বিশ্লেষক বেনেডিক্ট ম্যানজিন আল জাজিরাকে বলেন, “ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় ইসরায়েল এমন একজন রাষ্ট্রপতি পেয়েছিল, যিনি ইরান বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং ইসরায়েলের যেকোনো বৈদেশিক নীতিকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছেন।”
ম্যানজিনের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইসরায়েল আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে—তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা, অস্ত্র বহনকারী কনভয়ে আঘাত বা তেহরানের আঞ্চলিক মিত্রদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারছে বড় কোনো কূটনৈতিক মূল্য না দিয়েই।
তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ দেখিয়ে দেয় যে তারা এই কৌশলগত সময়টিকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল শুধু ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা হ্রাস নয়, বরং দেশটির সরকারের ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়ার প্রচেষ্টাও চালাচ্ছে।”
এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে বলে সতর্ক করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
শেখ ফরিদ