
ছবি: সংগৃহীত
ইরান দাবি করেছে, তারা সম্প্রতি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি স্থাপনায় হামলার সময় প্রথমবারের মতো একটি নতুন প্রজন্মের ‘অদৃশ্য’ (রাডারে ধরা পড়ে না) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শনাক্ত বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের অভিযানে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো শনাক্ত বা বাধা দেওয়া যায় না। এটাই ছিল শত্রুর জন্য একটি চমক।’
তিনি জানান, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে নিশানায় নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
তালায়ি-নিক বলেন, ‘ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সক্ষমতা নিয়ে বড়াই করে এসেছে। কিন্তু এবার তাদের সবচেয়ে নিরাপদ বিবেচিত এক কেন্দ্রেই সরাসরি হামলা হয়েছে। এতে তাদের দুর্বলতা প্রতীয়মান হয়েছে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই হামলা কেবল শুরু। শত্রুদের সামনে আরও চমক অপেক্ষা করছে।’
ইসরায়েল দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘গত ৭৫ বছরের সামরিক ও কৌশলগত অভিজ্ঞতা বলছে, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জায়নবাদী সরকার টিকতে পারবে না।’
তালায়ি-নিক আরও জানান, সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা বিবেচনায় রেখে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী অনেক আগেই উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জামে সজ্জিত হয়েছে। ‘আমাদের অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃতই হয়নি’, বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই হামলা ও ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে এখন পুরো অঞ্চলজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতের সংঘাতের রূপ বদলে দিতে পারে।
সূত্র: ইরনা।
রাকিব