
ছবি: সংগৃহীত
কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূর ইংল্যান্ডে একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন ১২ জুন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দুর্ঘটনাবশত একটি মৌমাছি গিলে ফেলেন। প্রকৃত মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে সঞ্জয় কপূরের বিয়ে হয়, যেটি ২০১৬ সালে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বিচ্ছেদে গড়ায়। ২০০২ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে কারিশমার এনগেজমেন্ট ভেঙে যাওয়ার পরই তিনি সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
২০১৪ সালে তারা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। তবে পরে কারিশমা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ আনেন, অন্যদিকে সঞ্জয় অভিযোগ করেন, কারিশমা শুধুমাত্র অর্থের জন্য তাকে বিয়ে করেছিলেন।
২০১৬ সালে তাদের আইনি বিচ্ছেদ কার্যকর হয়। তখনকার সময়েই কারিশমার বাবা রণধীর কাপুর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়ের বিয়ের প্রতি নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকাশ্যে সঞ্জয় কপূরকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন।
সঞ্জয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে রণধীর কাপুর বলেছিলেন, “সঞ্জয় একজন তৃতীয় শ্রেণির মানুষ... সবাই জানে আমাদের পারিবারিক মর্যাদা কী। আমরা কাপুররা, আমাদের কারও টাকার পেছনে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের শুধু অর্থ নয়, প্রতিভাও আছে, যা দিয়ে সারাজীবন চলা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনোই চাইনি কারিশমা তাকে (সঞ্জয়) বিয়ে করুক। সে (সঞ্জয়) কখনোই স্ত্রীর খেয়াল রাখেনি। বরং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য এক নারীর সঙ্গে বসবাস করেছে। পুরো দিল্লি জানে সে কেমন লোক। আমি আর কিছু বলতে চাই না।”
বিচ্ছেদের সময় কারিশমার দুই সন্তান—কন্যা সামায়রা ও পুত্র কিয়ান—এর অভিভাবকত্ব কারিশমাকে দেওয়া হয়। সঞ্জয়কে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার অধিকার দেওয়া হয়। ডিএনএর এক প্রতিবেদন অনুসারে, সঞ্জয় কারিশমাকে ৭০ কোটি টাকা দেনমোহর দেন। এএনআই-র এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিনি সন্তানদের জন্য ১৪ কোটি টাকার বন্ড কিনে দেন, যেখান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা সুদ পাওয়া যায়।
আবির