
সংগৃহীত
চুলের অযত্ন, দূষণ ও অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারে অনেকেরই চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, নিস্তেজ ও অগোছালো। বাজারের নানা প্রসাধনীর পরিবর্তে এখন অনেকেই ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিচ্ছেন। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো এমন ছয়টি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সহজেই চুলকে রাখা যায় নিয়ন্ত্রণে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
নারকেল তেল
- প্রথমেই রয়েছে নারকেল তেল ম্যাসাজ। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে ও শুষ্কভাব কমায়।
- ২–৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ও দৈর্ঘ্যে ম্যাসাজ করতে হয়। এক ঘণ্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই চুল হয় কোমল ও নিয়ন্ত্রিত।
- সপ্তাহে দুবার, রাতে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা জেল
- অন্যদিকে অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
- ২ টেবিল চামচ খাঁটি অ্যালোভেরা জেল শ্যাম্পুর পর ভেজা চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে।
- এটি সপ্তাহে দুইবার, ব্যবহার করা উপকারী।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
- চুলের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে অ্যাপল সিডার ভিনেগারও দারুণ কার্যকর।
- ২ চা চামচ ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর চুলে ঢেলে পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।
- সপ্তাহে একবার, ব্যবহার করলে খুশকি ও অতিরিক্ত তেলভাব নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিম ও টকদই
- এছাড়া ডিম ও টক দইয়ের হেয়ার প্যাক চুলে প্রোটিন ও আর্দ্রতা যোগায়।
- ১টি ডিম ও ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।
- এটি সপ্তাহে একবার, ব্যবহার করলে চুল হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
কলা ও মধু
- কলা ও মধুর মাস্কও চুল নরম ও চকচকে করতে সহায়তা করে।
- একটি পাকা কলা ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ২০–৩০ মিনিট চুলে রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।
- এটি সপ্তাহে একবার, ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেথির পেস্ট
- সবশেষে রয়েছে মেথির পেস্ট। এটি চুল পড়া কমায় এবং চুল ঘন করে।
- ২ টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হয়।
- সপ্তাহে একবার, এই প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলের স্বাস্থ্যে যত্নবান হতে চাইলে এই ঘরোয়া রেসিপিগুলো নিয়মিত ব্যবহার করে উপকার পাওয়া সম্ভব। কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে চুলের রূপ ফিরিয়ে আনতে এই উপায়গুলো এখন হয়ে উঠছে নারীদের নির্ভরতার নাম।
হ্যাপী