
ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ হৃদযন্ত্র শুরু হয় আপনার প্লেট থেকে। আপনি যা খান তা আপনার চেহারায় প্রতিফলিত হয় এবং যা আপনি ভাবছেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের সামনে সারাক্ষণ থাকে এবং সরাসরি আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এই খাবারগুলো কেবল শরীরকে শক্তি জোগায় না, বরং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সচেতন হোন, এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
১. শাকসবজি
ভিটামিন, খনিজ ও ডায়েটারি নাইট্রেটসমৃদ্ধ শাকসবজি ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায়। পালং শাক, কেল, ব্রকোলি ও কলার্ড গ্রীনসসহ বিভিন্ন শাকসবজি ফাইবারের ভাল উৎস, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এগুলো দৈনন্দিন খাবারে স্যালাড, সূপ বা স্মুদি আকারে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
২. বেরি ও তাজা ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, আপেল ও কমলা প্রভৃতি ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, বিশেষ করে এন্থোসায়ানিন যা শরীরের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কমলা ভিটামিন সি ও সলুবল ফাইবার সরবরাহ করে, যা এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য ফলমূল আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি বড় অংশ হওয়া উচিত।
৩. পূর্ণ শস্য
ফাইবার, ভিটামিন বি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ পূর্ণ শস্য হৃদযন্ত্রের কাজকে উন্নত করে। অন্যান্য পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে পূর্ণ শস্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। সাদা রুটি ও পাস্তা বাদ দিয়ে পূর্ণ শস্যের রুটি ও পাস্তা ব্যবহার করলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়।
৪. বাদাম, বীজ এবং স্বাস্থ্যকর তেল
বাদাম ও বীজে থাকে আনসেটুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরলস যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল ও অ্যাভোকাডো মনো-আনসেটুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী। চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট ও অ্যাভোকাডো নিয়মিত পরিমাণে খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৫. চর্বিযুক্ত মাছ
চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রধান উৎস, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়, প্রদাহ হ্রাস করে এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন প্রতিরোধ করে। ভাজা নয়, বরং বেক করা বা গ্রিল করা মাছ খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। স্যামন, ম্যাকারেল, ট্রাউট ও স্যাডিন এসব মাছ রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আবির