
সংগৃহীত
"মাসিক শুরুর দিনগুলোতে আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়—বিশেষ করে হজম। পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো হঠাৎ ডায়রিয়া। যেন আমার অন্ত্র আমার কথা শুনছে না,"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরিয়ডের সময় নারীর অন্ত্র বা গাট স্বাস্থ্য নানাভাবে প্রভাবিত হয়। "এ সময় শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামের হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা জরায়ু সংকোচনের পাশাপাশি অন্ত্রের গতিশীলতাও বাড়ায়। ফলে কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আবার কারও পেট নরম হয়ে যায়," -জানালেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সামিরা সুলতানা।
পিরিয়ডের সময় গাট হেলথে সবচেয়ে সাধারণ যে পরিবর্তনগুলো দেখা যায়:
- পেট ফাঁপা ও গ্যাস হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানায় কষ্ট হওয়া
- বারবার টয়লেটে যেতে হওয়া বা ডায়রিয়ার মতো অবস্থা
- বমিভাব বা খাবারে অরুচি
- পেটের নিচে চাপ লাগা বা অস্বস্তি
- হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ক্ষুধা বা কিছু না খেতে ইচ্ছা করা
"প্রজেস্টেরন হরমোন আবার অন্ত্রের গতি কমিয়ে দেয়। তাই অনেক নারী পিরিয়ড শুরুর আগে পেট ভার হয়ে থাকেন বা বাথরুমে যেতে কষ্ট হয়।" — বললেন ডা. সামিরা।
শুধু ডাক্তাররাই নয়, নারীদের অভিজ্ঞতাও তা-ই বলে। "পিরিয়ডের সময় আমি দই খাই, আর পানি বেশি খাই—এতে গ্যাস কম হয়। চা-কফি তখন একেবারে বন্ধ রাখি,"
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এ সময় খাদ্য তালিকায় ফাইবার, প্রোবায়োটিক এবং পর্যাপ্ত পানি রাখার। পাশাপাশি হালকা হাঁটা বা ইয়োগাও অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
"পিরিয়ডের দিনগুলোতে শরীর শুধু রক্তই হারায় না, ভেতরে-ভেতরে চলতে থাকে এক অদৃশ্য যুদ্ধ। অন্ত্র তার অন্যতম যোদ্ধা, যা কখনো হেরে যায়, কখনো লড়ে যায়," বললেন একজন নারী স্বাস্থ্য সচেতন কর্মী।
হ্যাপী