
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘাতে অভাবনীয় চাপে পড়েছে ইসরাইলের গর্বিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা “আইরন ডোম”। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টির মতো হামলায় একের পর এক শহরে আঘাত হানছে আগুনের গোলা, যা হতচকিত করেছে গোটা বিশ্বকে।
ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) জানিয়েছে, গত চারদিনে ইরান প্রায় ৫০০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র শুক্রবার রাতে নিক্ষেপ করা হয় প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র। তবে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হলো—এই হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইরন ডোম।
হ্যাকড ‘আয়রন ডোম’?
ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আইরন ডোম সাইবার হামলার শিকার হয়ে বিভ্রান্ত হয়েছে। এমনকি, ইসরাইলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ভুলবশত নিজেদের ভূখণ্ডেই আছড়ে পড়েছে বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
ট্রাম্পের চমকপ্রদ অবস্থান
ইরানের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন সমর্থন চেয়েছিল ইসরাইল, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে নেতানিয়াহুর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র এখন কৌশলী অবস্থানে থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, এটি হতে পারে ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাল।
হতচকিত সামরিক বিশ্লেষকরা
বিশ্বজুড়ে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এত বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অভিজ্ঞতা আইরন ডোমের জন্য ছিল একেবারে নতুন। এর ফলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গার্ডিয়ান, ডিফেন্স নিউজ এবং আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইব্রিড হামলা আইরন ডোমকে কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে।
ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বিশাল হারে
প্রতিটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়, যার দাম ২০-৩০ লাখ মার্কিন ডলার। একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে একাধিক ইন্টারসেপ্টর লাগায় ইসরাইলের জন্য যুদ্ধের ব্যয় অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
শেষ কোথায়?
ইরানের হাতে এখনো হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। একদিকে তীব্র হামলার ধাক্কা, অন্যদিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা—সব মিলিয়ে ইসরাইলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
এখন দেখার বিষয়, ইরান কতক্ষণ ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালিয়ে যেতে পারে, আর ইসরাইল কতটা ধরে রাখতে পারে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহ।
ইমরান