
ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মধ্যে অন্যতম দিরাই পৌরসভা উন্নয়নের দিক থেকে বরাবরই পিছিয়ে ছিল৷ ৬.৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যেও নেয়া হয়নি তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিষয়টা উপলব্ধি করে পৌরসভার বর্তমান প্রশাসন।
পৌর শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের পরিকল্পনা করা হয়। যার ফলে দিরাই থানা পয়েন্ট থেকে বাসস্ট্যান্ট পর্যন্ত সড়কের ডিভাইডারে (মধ্যখানে) বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ গাছগুলো সংরক্ষণের জন্য চারপাশে ভেড়া দেওয়া হয়। বর্তমানে গাছগুলো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। নতুন রুপ পাচ্ছে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। যেটি শহরের পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে খুবই প্রশংসনীয় হচ্ছে। অনেকেই স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা ব্র্যাকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুজ জাহির গেল কিছুদিন আগে তার ফেসবুক আইডিতে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেন, 'প্রায় দেড় মাস আগে চারাগাছগুলো যখন লাগানো হল তখন আমার কাছে পাতাহীন মরা গাছ লাগছিলো।
সামান্য বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে গাছগুলো জেগে উঠেছে। দিরাই থানা পয়েন্ট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডারে দিরাই পৌরসভার উদ্যোগে চারাগাছগুলো লাগানো হয়েছে ।
শতবর্ষ পরেও দিরাই পৌরসভা প্রশাসক জনাব অভিজিৎ সূত্র ধর ( সহকারী কমিশনার ভূমি) মহোদয়ের কথা দিরাই পৌরসভাবাসী মনে রাখবেন। কারণ গাছগুলো শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং শহরটিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে'
এবিষয়ে দিরাই পৌরসভা প্রশাসক জনাব অভিজিৎ সূত্র ধর ( সহকারী কমিশনার ভূমি) বলেন, সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছগুলো লাগানো হয়েছে। আমাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এগুলো বেড়ে উঠবে বলে আশা করি। এসময় তিনি, ভবিষ্যতে পৌর শহরের অন্যান্য সড়কের ডিভাইডারেও এরকম গাছ লাগানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান।
আসিফ