
একজন মুসলিম তার সঞ্চিত টাকা জমা রাখল ব্যাংকে যাতে সেটা নিরাপদ থাকে। এখন সেই মুসলিম এখান থেকে যে ইন্টারেস্ট বা সুদ পাচ্ছে সেটা কি দান করতে পারে?
বেশির ভাগ ইসলামি স্কলার বা বিশেষজ্ঞ বলেন, নিরাপত্তার খাতিরে আপনি প্রচলিত ব্যাংকে ইন্টারেস্ট বেয়ারিং অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে পারেন। তবে এখানে ইন্টারেস্টের যে টাকাটা সেটা দান করবেন, তবে আল্লাহর কাছে পুরস্কার লাভের আশা না করে। কারণ এটা হারাম। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এই কাজটা নিষিদ্ধ কারণ কুরআন বলছে না সুদের টাকা ব্যবহার করো না। কুরআনে বলছে, তোমরা রিয়ায় জড়িত হইওনা, দিবেও না নিবেওনা। দান করতে গেলে তো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। সেজন্য যদি আপনি সুদ বন্ধ করতে চান তাহলে সিস্টেমটাই বন্ধ করতে হবে। যদি বলেন নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকে টাকা রাখলাম ইন্টারেস্টের টাকা দান করে দেবো। তবে এখানে কোনো ছাওয়াবের আশা করা যাবেনা।
কুরআনে আল্লাহ বলেন,হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সুরা আলে ইমরান-১৩০)
যদি আপনি সুদের সাথে জড়িত থাকেন, আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহর রাসূল যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যখন ব্যাংকের একাউন্টে খুলছেন তখন আপনি তাদেরকে পারমিশন দিয়েছেন তারা ইন্টারেস্টে আপনার সাথে লেনদেন করবে। এটা অনেক বড় গুণা।
যদি নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকে টাকা রাখেন ,তাহলে তো সেটা রাখতে পারেন কোন ইসলামী ব্যাংকে অথবা শেষ উপায় হিসেবে টাকা রাখতে পারেন কারেন্ট অ্যাকাউন্টে।এমন কিছু অ্যাকাউন্ট আছে ব্যাংকে, যেখানে কোন ইন্টারেস্ট বা সুদ দেওয়া হয় না। এটাকে বলা হয় কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এই অ্যাকাউন্টে কোনও সুদ নেই। শেষ উপায় হিসেবে এখানে রাখতে পারেন।
কারণ বিভিন্ন দেশে এমন নিয়ম আছে যেমন ভারতে ইংল্যান্ডে যেখানে চেকের মাধ্যমে লেনদেন হয়। যদি আপনি ব্যবসায়ী হন তাহলে অ্যাকাউন্টে সেই পরমিান টাকা রাখেন ৷ বাকিটা ইনভেস্ট করতে পারেন প্রপার্টি রিয়েল এস্টেট স্টক ইত্যাদিতে। আর যদি নিরাপদে রাখতে চান তাহলে ব্যাংকে একটি লকার ভাড়া নিয়ে সেখানে টাকা রেখে দেন। যদিও এটা বোকামি তাবে অনেক ভালো।অন্তত আল্লাহ রাসুলের কাছে নিরাপদে থাকবেন। না হলে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।