ছবি: সংগৃহীত।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।”
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব জানান, “বিএনপি আশা করে, এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” একইসঙ্গে তিনি সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই নির্বাচনকে সফল করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায় এবং একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ গঠন সম্ভব হয়।
এ সময় মির্জা ফখরুল সদ্যঘোষিত 'জুলাই ঘোষণাপত্র' নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “গত ৫ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, বিএনপি তা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে।” ঘোষণাপত্রে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারকে তিনি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, “এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গঠিত প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ যারা এই দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন বা পঙ্গু হয়েছেন-তাদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।”
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিগত এক বছরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গণতন্ত্রের পথকে সুগম করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. ইউনূস এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রত্যাশা, অচিরেই রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের বাকি কাজগুলোও সম্পন্ন হবে।”
মিরাজ খান
