
সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান আগের শাসন ব্যবস্থাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ সাল জনবান্ধব নয়, বরং ‘স্বৈরশাসন’ ও দুর্নীতির শাসন ছিল। সেই শাসকরা ছিলেন সাধারণ মানুষের কথা ভাবার পরিবর্তে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, একদলীয় শাসনের ফলে দেশের প্রচলিত মানুষ ও গণতন্ত্র পরিণত হয়েছিল বিলুপ্তির পথে। ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত এই শাসকরা মানুষের চোখে পানি ফেলে করুণা আকৃষ্ট করতেন, কিন্তু ক্ষমতা আসার পর সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করতেন
শফিকুর রহমান দাবি করেন, এই শাসনব্যবস্থা জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোকে দিয়ে দেয়া হয়নি মৌলিক অধিকার। শীর্ষ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়, কার্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, এবং নির্যাতন-নিপীড়নের সম্পর্ক সুশৃঙ্খলভাবে চলে
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি দুর্নীতি ও স্বার্থান্বেষী চক্রের কারণে দিশাহীন হয়ে পড়েছিল। ব্যাংক, বাজারখাতে অনিয়ম, বাজেট সুবিধাবাদিদের হাত ধরে দেশীয় সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছিল
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় শোষিত প্রবাসীদের ভূমিকা তিনি স্মরণ করেন। বলেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে, যা একটি “রেমিট্যান্স যোদ্ধা” নামে পরিচিত হয়ে ওঠে
ডা. শফিকুর রহমান আরো ব্যক্ত করেন যে, "ফ্যাসিস্টদের পুনরায় ক্ষমতায় আসা উচিত নয়" এবং "যারা মানুষ খুন করে শক্তিতে টিকে থাকতে চেয়েছিল, তাদের তালিকা তৈরি করে বিচার হওয়া উচিত"
ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, পুরোনো শাসন ব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী। তাদের বিরুদ্ধে যত অন্যায় হয়েছে—থার তালিকা তৈরি করে বিচারের দাবি তিনি উঁচিয়ে দিয়েছেন। নতুন পরিবেশে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হ্যাপী