
ছবি: সংগৃহীত।
গণপরিষদের মাধ্যমে যদি আমরা একটি নতুন সংবিধান না বানাতে পারি, আজকের এ সমাবেশের মধ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী।
শুক্রবার (২ মে) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর আয়েজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী আরও বলেন, যারা বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই মুজিববাদী পরিবারকে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে আওয়ামী লীগ নামধারী, মুজিববাদী নামধারী কোনো শক্তি বাংলাদেশে বিরাজ করতে পারবে না এবং দেবে না।
নাসিরুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক লড়াইয়ের মাধ্যমে জানান দিয়েছিলো, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যতদিন থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ নামে এ দেশে কোনো আর খুনি হাসিনা এবং মুজিববাদীদের অস্তিত্ব থাকবে না। এ বিষয় ফয়সালা হয়েছে। এখন আমাদের এ ফয়সালা ঝুলছে কেন, সে বিষয় আমাদেরকে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমত বাহাত্তর সালে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিলো। যেই সংবিধানে মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে ভারতীয় এক্সটেনশন বাংলাদেশে বিরাজমান করা হয়েছিল। এ সংবিধান যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, এ সংবিধান যতদিন বিরাজমান থাকবে, এ সংবিধান যতদিন ব্যুরোক্রেসিতে থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগ বারবার ফেরত আসার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ইসির কলকবজা ও কলকাঠি নাড়িয়ে একটি দল নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গত ১৫ বছরে যখন আমাদের মায়েরা জেলের দ্বারগুলোতে ঘুরে ঘুরে ফিরেছে, আমার ভাইয়েরা যখন গুম হয়েছে, আমার ভাইয়েরা যখন শহীদ হয়েছে, তখন আপনাদের যারা নেতৃত্ব রয়েছে তারা আয়েশি জীবন, ভোগ-বিলাসে মগ্ন ছিলেন। আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করেছিলেন। আপনাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। আপনাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হওয়ার কারণে ফিনেক্স পাখির মতো ক্যাম্পাস থেকে এ ছাত্র-জনতা বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে যদি নেতৃত্বের প্রশ্ন আসে, তাহলে এ ছাত্ররাই নেতৃত্ব দেবে। এ ছাত্ররাই সচিবালয়, আর্মি, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংসদে নেতৃত্ব দেবে।
নুসরাত