
ছবি: খুবি শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। (ইনসেটে হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত নোমান)
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকি'র উপর বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, শুক্রবার (০২ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এক কথোপকথনের মাঝে ওই শিক্ষককে আঘাত করেন নোমান। বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ১২ টায় শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষকের গায়ে হাত কেন, প্রশাসন জবাব চাই'; 'নোমানের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও'; 'সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। তাদের দাবি, নোমানের সার্টিফিকেট ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে, শিক্ষককে হামলা করায় তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলা করতে হবে এবং আগামী ২ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নোমানের সঠিক বিচার এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের হলে ফিরতে বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, আমাদের দাবি তাকে (নোমান) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার সার্টিফিকেট নেওয়ার কোনো অধিকার নেই।
আরেক শিক্ষার্থী মুন্না হোসাইন বলেন, "আমাদের শিক্ষকরা যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন, তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ বোধ করব? এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দোষী এবং তার সহযোগীদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্যাডে এক বিবৃতির মাধ্যমে নোমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিউল হাসান