![নিরপরাধ একজনকেও আমরা সাজা দিতে পারি না : শিশির মনির নিরপরাধ একজনকেও আমরা সাজা দিতে পারি না : শিশির মনির](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/৩-11-2412012008.jpg)
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামনিরপরাধ একজনকেও আমরা সাজা দিতে পারি নালা মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, । ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেয়।
রায় পাওয়ার পর শিশির মনির বলেন, আমরা সকলেই তাদের (ভিক্টিম) প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। এটাই হতে হবে আইনের দৃষ্টিতে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধী যদি রাষ্ট্রপক্ষ বের করতে না পারে তাহলে বিচারটা হবে কার? ১০০ মানুষও যদি খালাস হয়ে যায়, নিরপরাধ একজনকেও আমরা সাজা দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, এই আইনের অধীনে যারা নিহত হয়েছেন যারা পঙ্গু হয়েছেন, যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি সহানুভূতি। কিন্তু এই বলে তারেক রহমান সাহেব, এই বলে বাবর সাহেব, এই বলে মুজাহিদ সাহেব, এই বলে সালাম সাহেব যাকে ইচ্ছা তাকে আপনি সাজা দিতে পারবেন না। এটা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
এজন্য যারা আহত হয়েছেন তাদের উচিত ছিল সুনির্দিষ্ট আসামি খুঁজে বের করা। সুনির্দিষ্ট আসামি না খুঁজে আমরা খুজেছি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খুঁজতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট আসামিরা তার সুযোগ নিয়ে সহযোগিতা পেয়ে বের হয়ে গেছে আমরা তা খুঁজতেও যায়নি। এজন্য এরকম টরচার করে ক্রিমিনাল জুডিসপুড্যান্স কে ব্যবহার করে যাকে ইচ্ছা তাকে সাজা দেওয়ার যে নীতি এই নীতি কোন সরকারের আমলে কারো জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। -আরও যোগ করেন তিনি।
তাহলে ভিক্টিমদের দায়ত্ব কে নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, যারা ভিকটিম হয়েছেন এই মামল প্রোপার ইনভেস্টিগেশন করবে রাষ্ট্র। কিন্তু আপনি যদি আসামে খুজে না পান সে ক্ষেত্রে যাকে ইচ্ছা তাকে আসামি বানিয়ে সাজাতে দেবেন এটা হতে পারে না।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১।
এমএম