ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর শোকাত্মক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ০৩:১৮, ১২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৩:১৯, ১২ জুলাই ২০২৫

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর শোকাত্মক প্রতিক্রিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। 

শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড এবং অতীতের শহীদ ছাত্রনেতাদের স্মরণ করে লিখেছেন, "জুলাইয়ের মহাকাব্যে শহীদ আবু সাঈদের প্রসারিত দুই হাত ছিল যেনো উত্তাল সাগরের ঢেউ—আছড়ে পড়েছিল হাসিনা-শাহীর হেরেমের শ্বাসরুদ্ধ দেয়ালে।"

তিনি উল্লেখ করেন, হাজার বুলেটের মুখেও অটল, দৃঢ় পর্বতের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন শহীদ ওয়াসিম—যিনি ছিলেন মুক্তির অনলস প্রতীক। এই শহীদদের রক্তের মাধ্যমেই, লেখকের ভাষায়, জাতি পেরিয়ে এসেছে দেড় যুগের অন্ধকার।

মুশফিকুল ফজল আবেগের সাথে লেখেন, “পুলিশের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া ছাত্রদল নেতা জনির বুকের পাশে তার প্রিয়তমার কাঁদতে কাঁদতে উচ্চারিত প্রশ্ন আজো কানে বাজে— ‘একটা মানুষের বুকে আপনাদের কয়টা গুলি চালানো দরকার হয়েছিল?’”

তিনি জনি, ওয়াসিম, মুগ্ধ, আবু সাঈদ, ফাইয়াজ—এই শহীদদের তুলনা করেন গ্রিক পুরাণের ইকারুসের সঙ্গে, যারা জানতো উড়লেই পুড়তে হবে, তবুও উড়েছিল—জনগণের মুক্তির নেশায়। সেই সাহসিকতার প্রতীক হিসেবেই তিনি তাদের স্মরণ করেন।

স্ট্যাটাসের এক পর্যায়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী উল্লেখ করেন, “স্বৈরাচার পতনের পরবর্তী এই বাংলাদেশে মিটফোর্ডের সামনে সোহাগের থেঁতলে যাওয়া মস্তিষ্ক—ভাবতেই শিহরিত হই, কল্পনাতেও যা অসম্ভব।”

শেষে তিনি লেখেন, “প্রার্থনা সোহাগের জন্য— শোক ও বেদনায়।”

এই স্ট্যাটাসটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

 

শেখ ফরিদ 

×