ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঢাকায় ইসরায়েলি বিমান নিয়ে যা বললেন রিজভী 

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকায় ইসরায়েলি বিমান নিয়ে যা বললেন রিজভী 

 বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইসরায়েলি দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে উঠানামা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি। বাংলাদেশে দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় তৈরি হয়েছে যেখানে ক্ষমতাসীন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে। 

এদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি। 

শনিবার (১৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সাথে আলাপের সময় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী বলেন, সমস্ত গ্লানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা, গণতন্ত্রকে ফেরানো, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনাই তাদের প্রত্যাশা। 

তিনি বলেন, ডামি সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই, দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না। তারা ভোটকে পাত্তা দেয় না। যারা জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে তাদের কাছে জনগণ কী আশা করবে।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা মতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ রয়েছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে, লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতির মহাকাব্যের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। দুর্নীতি করে আর রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট করেই চলছে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা। যারা দুর্নীতির মধ্যে ভাসছে তাদের কাছে মানবধিকার প্রিয় হবে কেন? ভোট প্রিয় হবে কেন? মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের কাছে প্রিয় হবে কেন? এগুলো ছাড়াইতো তারা ক্ষমতাসীন হয়ে অবাধে জনগণের টাকা লুটে নিতে পারছে। পৃথিবীর ধনী ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলতে পারছেন। 

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান রিজভী। তিনি বলেন, সব জরাজীর্ণতা ও গ্লানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা, আমাদের যে লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফেরানো, সে আন্দোলনকে আরও বেশি তরান্বিত করা, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনা-এসবই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

 

শহিদ

সম্পর্কিত বিষয়:

×