ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডেডলাইন-১০ ডিসেম্বর

সরকার কঠোর ॥ পিছু হটছে বিএনপি

শংকর কুমার দে

প্রকাশিত: ০০:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

সরকার কঠোর ॥ পিছু হটছে বিএনপি

১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার

১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডিডিও কনফারেন্সে বক্তৃৃতা শোনানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে মুক্ত খালেদা জিয়া ও লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নামে স্লেøাগান তুলে মুক্তির দাবি করা হতে পারে মহাসমাবেশে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশাল জমায়েত করে দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য ছঁক কষা হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদল থেকে মূল দল বিএনপিতে আসা উগ্র মনোভাবাপন্ন নেতারা এই পরিকল্পনায় জড়িত। সরকারের কঠোর মনোভাব গ্রহণ করায় ইতোমধ্যেই পিছু হঠতে শুরু করেছে বিএনপি। লন্ডনে পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে যোগাযোগ করে গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছে দলের নেতৃবৃন্দ। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন, তার কথায় দেশ চলবে, লন্ডন থেকে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে কয়েকদিন ধরে এই ধরনের বক্তৃতা-বিবৃতি প্রচার করে আসছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মূলত বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশে গরম বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু সমাবেশের স্থানের ফাঁদে আটকা পড়েছে বিএনপির পরিকল্পনা।

বিএনপির মহাসমাবেশ করার জন্য নয়াপল্টনে অনড় আর সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়ার বাইরে যাবে না- দুই পক্ষই এখন দৃঢ় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছে। তবে বিএনপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকে লন্ডনে যোগাযোগ করে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সাফ বলে দিয়েছেন, খোলা মাঠ ছাড়া রাস্তাঘাটে কোনো সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তাদের (বিএনপি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে গণসমাবেশের বিকল্প স্থানের কোনো প্রস্তাব পাননি বলে সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

এদিকে এর আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে চায়। তবে বিকল্প স্থান হলে আলোচনা হতে পারে। এতে বিএনপি পিছু হঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করার বিষয়ে লিফলেট বিলি করেছে বিএনপি।

বিলি করা লিফলেটের মধ্যে তারিখ ও সময় লেখা থাকলেও কোথায় সমাবেশ করবে তার কোনো নাম লেখেনি দলটি। এতে বিএনপি তার সমাবেশের স্থান থেকে সরে এসেছে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করা হলে আগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা ঠিক থাকবে কিনা সেই বিষয়েও পর্যবেক্ষণ করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

×