ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে দলটি 

জাপার কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসছে?

 বিকাশ দত্ত

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ২২:৫০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাপার কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসছে?

জাতীয় পার্টির লগো

২৬ নবেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে কি নতুন নেতৃত্ব আসছে ? এ প্রশ্নটি জাপার সবার মুখে ঘুরে ফিরে আসছে। কাউন্সিলে যে সমস্ত নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ,বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের কে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই পার্টিকে শাক্তিশালী করা হবে। পার্টির মধ্যে অগণতান্ত্রিক আবহ থাকায় নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং পদ হারানোর ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তা দুর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে এ খবর জানা গেছে। 


দলের প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদ আবারো পার্টি খন্ডিত হওয়ার আশংঙ্কা ব্যাক্ত করেছেন। যাতে পার্টি খন্ডিত না হয়  সে জন্য তিনি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।  দীর্ঘ ৩৬ বছর পর দলের দলের প্রধান পৃষ্টপোষক জাতীয় পার্টির সর্বময় ক্ষমতার সংরক্ষক হিসেবে পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ এর উপধারা-১; প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে গঠনতন্ত্রের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ধারা ২০ এর উপধারা ২ এর সব বিধান স্থগিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি এখন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। যে কোন সময় ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে পার্টিতে।  এরইমধ্যে জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ চরমে ঠেকেছে। শুরু হয়েছে দেবর -ভাবীর  নেতৃত্বের নতুন দ্বন্দ্ব । এরশাদ জীবিত থাকাকালে সে দ্বন্দ্ব ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। এরশাদের মৃত্যুর পর তা নানা ইস্যুতে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে দলটি অনেক নেতাই বলেছেন ,রওশন এরশাদ আর জি এম কাদেরকে ঘিরে দলের নেতৃত্বের এই দ্বন্দ্ব জাতীয় পার্টিকে আরও একবার ভাঙ্গনের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে জানা গেছে।   


জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদ চিকিৎসা শেষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। এক দিকে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল , জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পীকারের কাছে চিঠি অন্যদিকে গঠনতন্ত্রের ধারা-২০ ধারা স্থগিত নিয়ে দলের মধ্যে এখন সোরগরম চলছে। এ বিষয়ে পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেছেন , জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ পার্টির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় কিছু করছেন বলে বিশ্বাস করি না। তবে, ম্যাডাম তার ছেলে ও আরো দু’এক জনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, গতবুধবার বেগম রওশন এরশাদের যে চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, সেই চিঠি আমরা আমলেই নিচ্ছি না। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ও ২০ ধারা নিয়ে মসিউর রহমান রাঙার কথা বলা স্ববিরোধী।


গত বুধবার রওশন এরশাদ যে চিঠি জিএম কাদেরকে দিয়েছেন ,সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে , বিগত দিনে দলের বহু সিনিয়র, অভিজ্ঞ, দায়িত্বশীল পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিস্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। পদোন্নতি বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এতে করে পার্টিকে দিনে দিনে দূর্বল করা হয়েছে। করা হয়েছে খন্ডিত। পার্টির মধ্যে অগণতান্ত্রিক আবহ থাকায় নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং পদ হারানোর ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে আবারো পার্টি খন্ডিত হওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা অবসানের লক্ষ্যে এবং পার্টি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে মশিউর রহমান রাঙা এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গাফফার বিশ্বাস,এছাড়া নবম সন্মেলনের পর, পদ পদবিতে না রাখা সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট  মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুসহ দেশজুড়ে অব্যাহতি, বহিস্কার ও নিষ্ক্রিয় করে রাখা সব নেতাকর্মীদের এই আদেশ জারির পর হইতে যার যার আগের পদ পদবিতে অন্তর্ভৃক্ত করা হলো। চিঠি পাওয়ার পর জাতীয় পার্টি অনেকটা নড়েচড়ে উঠেছে।  


এ বিষয়ে মহাসচিব মো:মুজিবুল হক চুন্নু বলেন , পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই ধারা ব্যবহার করে সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমান রাঙাকে মহাসচিব করেছিলেন। তখন তিনি গঠনতন্ত্রের ঐ ধারার সুবিধাভোগি হয়েছে। তখন তো মসিউর রহমান রাঙা গঠনতন্ত্রের এই ধারার বিরোধীতা করেনি। তাছাড়া, ২০১৮ সালের কাউন্সিলের আগে মহাসচিব ছিলেন, কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র অনুমোদন হয়েছে সেই প্রক্রিয়ার সময় এবং কাউন্সিল পরবর্তী প্রায় দুই বছর এই গঠনতন্ত্র মেনেই মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন মসিউর রহমান রাঙা। তিনি কখনোই এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারার বিরোধীতা বা আপত্তি করেননি। এসময় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশন এবং ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। প্রয়োজন হলে যে কেউ দেখে নিতে পারেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টিতে কোন বিভেদ নেই। কোন ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সমস্ত  কথা বলেছেন।  


জাতীয় পার্টির একটি অংশ জানিয়েছে ২৬ নবেম্বর কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসছে। ইতমধ্যে দলের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কাউন্সিলকে ঘিরে দলের নেতৃবৃন্দ সাধারণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। রওশন এরশাদ দেশে ফেরার পর গুরুত্বপুণ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেেেছ। ৩১ আগষ্ট  থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থেকেই আগামী ২৬ নবেম্বর জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, আগামী ২৬ নবেম্বর জাপার দশম কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছেন রওশন এরশাদ। সেই উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে রওশন এরশাদ নিজেকে আহ্বায়ক করে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন। ওই কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে আমাকে।

কাউন্সিল আহ্বানের চিঠিতে রওশন এরশাদ বলেন, আমি বেগম রওশন এরশাদ (এমপি) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির দশম কাউন্সিল আহ্বান করছি। এ কাউন্সিল ২০২২ সালের ২৬ নবেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এ সময় আমি লক্ষ্য করি, জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, নিয়মাবলি এবং পার্টির মূল আদর্শ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। বর্তমানে পার্টি গঠনতান্ত্রিক গৃহীত আদর্শ, নিয়ম ও নীতিমালা থেকে সরে গিয়ে ভ্রান্তপথে  অগ্রসর হচ্ছে।


২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের  সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ ও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখেছে বলে দাবি করেন রওশন এরশাদ। কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত কমিটিতে আরও আছেন- পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম। কাউন্সিলে উপরে উল্লিথিদ  ব্যক্তিবর্গ যুগ্ম আহ্বায়ক থাকবেন ও আমার রাজনৈতিক সচিব এরশাদ মুক্তি পরিষদের সাবেক সভাপতি ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মসীহকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব পদে নিয়োগদান করলাম।


দেবর-ভাবির মধ্যে ঠান্ড লড়াই অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই দূরত্ব বেড়ে যায়। এরশাদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন জিএম কাদের। আর রওশন এরশাদ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। ভোটের পর পুরো মেয়াদে একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকে জাপা। এই পন্থার সমালোচনায় মুখর ছিলেন জিএম কাদের। এতে রওশনের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।


ওই সময়েই ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরে রওশনপন্থীদের চাপের মুখে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে যখন জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তখন রওশনপন্থীদের চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত  প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। পরে রংপুরের নেতাদের আন্দোলনের মুখে ছোটো ভাই জিএম কাদেরকে দ্বিতীয় দফায় ভারপ্রাপ্ত ও ভবিষ্যত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তিনি। এরশাদের মৃত্যুর পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার মনোনয়ন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব প্রকাশ পায়।  জিএম কাদের ও রওশন দুজনেই বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। অবশেষে জয়ী হন রওশন। প্রকাশ্য গ্রুপিং  না থাকলেও ভেতরে ভেতরে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজমান।


১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের  অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। ওই জোটের শরিক ছিল জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) মুসলিম লীগ (সা)। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্য্যন্ত জাতীয় পার্টি পাঁচটি অংশে ভাগ হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে মূল দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। অন্য চারটি অংশের একটির নেতৃত্বে আছেন আনোয়ার  হোসেন মঞ্জু, আরেক অংশের নেতৃত্বে আন্দালিব রহমান পার্থ এবং অপর একটি অংশের নেতৃেত্ব দিচ্ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (এম এ মতিন) নামে একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. এম এ মুকিত। বর্তমানে জাপার মূল অংশ নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 


গত ১৪ সেপ্টেম্বর রওশন পন্থী হিসেবে বিবেচিত জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সহ সব পদ-পদবি থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপিকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। এর আগে রওশন এরশাদকে সরিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জিএম কাদেরকে বিরোধদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠিও দিয়েছেন । পাশাপাশি দুই নেতা পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েও যাচ্ছেন।  রংপুরের আলোচিত এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এ প্রসঙ্গে মশিউর রহমান রাঙ্গা গনমাধ্যমে বলেছেন ,‘আমি যা বলেছি সত্য বলেছি এবং বলবো। পার্টির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার রাইটস আমার আছে। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জি এম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতা এবং অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী।’

মসিউর রহমান রাঙ্গার পর ১৭ সেপ্টেম্বর  জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের  উপদেষ্টা ও প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে।  এ সমস্ত ঘটনায় পার্টি এখন মুখি মুখি অবস্থান করছে। 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×