
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। রবিবার সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় একটি মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়েছিল।
শুক্রবারে গণঅনশন
এবং তারপর
শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদের মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একচুল না সরার ঘোষণা দিয়েছেন, এমন একটি সংবাদ অনলাইনে পড়ার পরে ফেসবুকে এই ইস্যু অনুসরণ করতে শুরু করি। জনকণ্ঠ অনলাইনের লাইভ ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাতভর বহু শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিলেন। দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে জগন্নাথের একজন শিক্ষক বলেন, ‘হয় দাবি আদায় হবে, না হয় আমরা স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাদের মৃত্যু হয়। যখন আমরা গ্রিন সিগন্যাল পাব, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে; তাৎক্ষণিক আমরা আমাদের এই কর্মসূচি সমাপ্ত করব।’ জগন্নাথের ছাত্র ও শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছেন। আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট কাটছাঁট না করা এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা। বর্তমান বাস্তবতায় সব কটি দাবি এখনই মেনে নেওয়া হয়তো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সম্ভব নয়। কিন্তু সমস্যাগুলো সমাধানের দৃশ্যমান চেষ্টা দেখতে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
গত বুধবার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন। সংবাদমাধ্যমে যেসব ছবি ও খবর এসেছে, তাতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ ছিল বেপরোয়া। তাদের আঘাতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন। বাধার মুখেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি। এটা আন্দোলনের প্রতি তাদের দৃঢ়তার প্রতিফলন বলা যায়। কিন্তু তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম যখন সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসেন, তখন তার প্রতি পানির বোতল ছুড়ে মারার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।
পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নেওয়ার আশঙ্কা করি। বিকেলে ছাত্র-শিক্ষকরা গণঅনশনে বসেন। সে সময়ে মনে হচ্ছিল জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সড়ক অবরোধ আর কতদিন চলবে। পরিস্থিতি চূড়ান্ত অচলাবস্থার দিকে যাওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সরকার একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাবে কি? এমন ভাবনার ভেতরেই ঘোষণা এলো অন্তর্বর্তী সরকার জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। ফলে আন্দোলনকারীরাও রাস্তা থেকে সরে যান। এখন কথা হলো, দাবি আদায়ের জন্য যমুনা অভিমুখী হওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত এবং এটি সমাজে কোনো ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করল কিনা।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে নৃত্যসন্ধ্যা
বুদ্ধ পূর্ণিমার রাতে নয়, এর কয়েকদিন পর সন্ধ্যায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে ব্যতিক্রমীভাবে। অনুষ্ঠানে গৌতম বুদ্ধের জীবননির্ভর সংগীতভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল ভরতনাট্যম ও ওড়িসি নৃত্যের পরিবেশনা। প্রতিটি পরিবেশনাই উপস্থিত সুধিজনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তার আবির্ভাব, বোধি লাভ ও নির্বাণ- তিন ঘটনাই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে ঘটেছিল বলে একে বলা হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। বৌদ্ধ দর্শনের মূল লক্ষ্য সত্যকে উপলদ্ধি করে দুঃখমুক্তি। বুদ্ধের শিক্ষা- মানুষ কর্মের অধীন, জগতে কর্মই সব। যার যেমন কর্ম, তিনি ফলও পাবেন তেমন। এ দর্শনের মূলমন্ত্র- ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু’, অর্থাৎ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ, প্রাচীন সংযোগ এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করি, যা আমাদের বর্তমানকে প্রভাবিত করে এবং ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করে।’ বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতির বার্তা পাঠ করেন সহসভাপতি মহারাজ স্বরূপানন্দ ভিক্ষু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাবেক শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক সুধাত্র বুুড়ুয়া।
খাবারের প্যাকেট ছোট হলে...
খাবারের দাম কমছেই না। প্যাকেটজাত খাবারের দাম না বাড়িয়ে প্যাকেটের ভেতরের খাবার কমিয়ে দেওয়ার চালাকি শুরু হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও আকার-পরিমাণ হ্রাসের এ সময়ে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিস্কুট, পাউরুটি, কেকের প্যাকেট ছোট হচ্ছে, কষ্টে শ্রমজীবী মানুষ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লিখিত রিক্সাচালক মোখলেছের মতো লাখ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এসব খাদ্যপণ্য কেবল ক্ষুধা নিবারণের উপকরণ নয়, এটি জীবনধারণের অপরিহার্য সম্বল। অথচ মূল্যবৃদ্ধির কারণে ‘শ্রিংকফ্লেশন’-এর নীরব কৌশলে রুটি, বিস্কুট, কেকসহ খাদ্যপণ্যের আকার সংকুচিত করা হচ্ছে। এই প্রবণতা কেবল অর্থনৈতিক কূটকৌশল নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি ঘোরতর অবহেলা।
বিস্কুট, পাউরুটি ও কেকের প্যাকেটে পণ্যের পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাসের পেছনে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) চাপ দায়ী। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর পরিবর্তে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে লাভের পরিমাণ অক্ষুণ্ন রাখছে, কিন্তু এর মাশুল দিচ্ছে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ছুঁয়ে গত এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ হয়েছে। তবে এটা নিছক পরিসংখ্যান নয়, এই পরিসংখ্যানের পেছনে রয়েছে কোটি মানুষের পুষ্টিহীনতার বাস্তব কাহিনী। নিত্যপণ্যে ভ্যাট-শুল্কের বোঝা গরিবের জীবনে অসম চাপ সৃষ্টি করছে। ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে প্রকাশ, ৯৯ শতাংশ উত্তরদাতা কোনো না কোনো সময় অর্থাভাবে ভারি খাবার বাদ দিয়ে পাউরুটি-বিস্কুটে ক্ষুধা নিবারণ করেছেন। ৬০৫ জন নিম্ন আয়ের মানুষের দাবি, এসব নিত্যপণ্যে কর হ্রাস অত্যাবশ্যক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল কার
ছয়মাস আগে নভেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল বাস সেবা চালু হয়। তিনটি নন-এসি মিনিবাস সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চক্রাকারে ক্যাম্পাসে তিনটি রুটে চলাচল করছে। এবার উদ্বোধন হলো বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চালু হয়েছে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি। গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য গত সপ্তাহে চালু হয়েছে চারটি গাড়ি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ সেবা চালু থাকবে। ক্যাম্পাস শাটলে যাত্রার ভাড়া হবে সর্বোচ্চ ২০ ও সর্বনিম্ন ১০ টাকা। এ ভাড়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারবেন। প্রতিটি গাড়িতে গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একজন করে স্বেচ্ছাসেবক (ঢাবি শিক্ষার্থী) থাকবেন এবং ভাড়া সংগ্রহ করবেন। কুয়েত মৈত্রী হলে ও তৎসংলগ্ন হলের শিক্ষার্থীরা এ সেবার আওতায় থাকবেন।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে চারটি রুটে ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়িগুলো চলবে। প্রতিটি শাটলে ১৪ জন করে বসতে পারবেন। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১. গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন।
২. অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আপনি কি চান নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক? এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক? হুঁশিয়ার করে দিতে চাই প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেব, আপনি বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব, সম্মানিতজন। আপনি সম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন ডিসেম্বরের মধ্যে। যে কথা আপনি আমাদের দিয়েছিলেন। সংস্কার এবং বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেটি চালু থাকবে, যারাই সরকারে আসুক। অনন্তকাল ধরে আপনি বিচার এবং সংস্কারের বাহানা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করবেন না।’ শনিবার খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
নারীর নান্দনিক
ও তীব্র প্রতিবাদ
জ্যৈষ্ঠের শুরুটা তাপপ্রবাহে ছিল রুদ্র। এদিকে শুক্রবার প্রচণ্ড গরমের ভেতর ঢাকায় তিনটি আন্দোলন হয়। দুটি ছাত্রসমাজের অপরটি নারীর ডাকে সব মানুষের। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে নারীসমাজের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নারীর অংশগ্রহণে এমন রঙিন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বৃহৎ সমাবেশ বাংলাদেশে এর আগে খুব বেশি হয়নি। তবে এই আয়োজনে বহু পুরুষও যোগ দেন। ধর্ষণ, নিপীড়ন, অসমতা, অন্যায্যতা, পিতৃতন্ত্র, শ্রমের অবমূল্যায়ন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছেন নারী-পুরুষ সবাই। ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ ব্যানারে স্লোগানে, গানে, পদযাত্রায় এ আওয়াজ ওঠে। ঘোষণাপত্রে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্য চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টাকে মেনে না নেওয়ার স্পষ্ট অবস্থানের কথা জানানো হয়। লড়াই অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘আমরা সরকার ও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নারীবিষয়ক অবস্থানকে নজরদারিতে রাখব। যে ক্ষমতাকাঠামো জুলুমবাজি জিইয়ে রাখে, সেই কাঠামো ভাঙব। আমরা চুপ করব না, হুমকির মুখে নত হব না। অধিকার আদায়ের দাবিতে অটল থাকব। ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ও তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে হাল ছাড়ব না।’ ড্রাম ঢোলক সহযোগে গান পরিবেশন করের প্রতিবাদী নারীরা। লাঠি নিয়ে বাদ্যের সঙ্গে সম্মিলিত পরিবেশনাও ছিল উদ্দীপনা জাগানিয়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, তাতে নানামুখী স্লোগান ছিল। সপ্তাহের নির্বাচিত ছবিটি ছাপা হয়েছিল দৈনিক বণিক বার্তায়।
‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ আয়োজনের আগে এবং পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করা হচ্ছে। এসব থেকে সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নারীসমাজকে বঞ্চনা, বৈষম্য ও বিভেদের বেড়াজালে আটকে রেখে সমাজ কিছুতেই সামনের দিকে এগোতে পারবে না। সমাজের সুস্থতার জন্যই নারীপুরুষের সমতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য জরুরি। ধর্মের দোহাই তুলে, পুরুষতন্ত্রের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার হরণ করে, নারীকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। এমন সমাজই প্রত্যাশিত যেখানে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা সমুন্নত থাকবে। আজকের দিনে নিজ অধিকার আদায়ের জন্য নারীর পথে নামা গোটা সমাজের জন্যই লজ্জার।
১৮ মে ২০২৫
[email protected]
প্যানেল