ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ছিনতাই রোধে কঠোর পদক্ষেপ

মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ৭ মে ২০২৫

ছিনতাই রোধে কঠোর পদক্ষেপ

রাজধানীসহ সারাদেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সূচক ক্রমেই ওপরে উঠে যাচ্ছে। পাড়া-মহল্লার গলিপথ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সর্বত্র এখন ছিনতাই আতঙ্ক ভর করেছে। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্কে সাধরণ মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পায়। খোদ রাজধানীতে শত শত মানুষের সামনে রামদা দিয়ে রিক্সা আরোহীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনা ঘটছে। এমনকি বাসের মধ্যেও কেউ এখন নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। ডাকাতি করে সর্বস্ব লুট করা ছাড়াও ধর্ষণের মতো  পৈশাচিক ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই সারা দেশে এ রকম অপরাধ চিত্র বাড়ছে। তবে এত পুলিশ থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কেন এত অবনতি হচ্ছে- সেটি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আর প্রশ্নের শেষ নেই।
দেশের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকারও নাগরিকরা এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ প্রায় সব এলাকায় এসব অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশি কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকরী হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারীরা পথচারী, যাত্রী এবং দোকানদারদের লক্ষ্য করে নানা কৌশলে তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা এখন খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, কেন হঠাৎ করে ছিনতাইচক্র এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। কারণ পুলিশ জনগণের বন্ধু। সেহেতু সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় মূল দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত। সেই বাস্তবতায় পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। পাশাপাশি জনগণের আস্থায় পরিণত হতে পারে সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। রাতে ঢাকা শহরজুড়ে পাহারা থাকে অথচ রাতেই তা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ব্যাপারটি কেন এবং কি কারণে ঘটছে বা ঘটতে পারছে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা দরকার। নাগরিক নিরাপত্তার বিবেচনা থেকে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ফেনী থেকে

প্যানেল

×