ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ওয়ারেন বাফেটের জীবনে সাফল্যের রহস্য

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৮ মে ২০২৫

ওয়ারেন বাফেটের জীবনে সাফল্যের রহস্য

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট ৩ মে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি বছর শেষে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে থেকে অবসর নেবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার নীতি সবারই জানা - স্বল্পমেয়াদি শেয়ারদরের দিকে না তাকিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মূল্যবৃদ্ধিতে মনোযোগ, বুঝে বিনিয়োগ করা এবং কেনার সময়ই ধরে রাখার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলা।

ফলাফল অবিশ্বাস্য: ১৯৬০-এর দশকে যদি কেউ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের শেয়ারে মাত্র $১০,০০০ বিনিয়োগ করতেন, আজ সেটার মূল্য হতো $৫০০ মিলিয়নেরও বেশি। কোম্পানির শেয়ার মূল্য বার্ষিক গড়ে ২০ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা মোট ৫,৫০০,০০০ শতাংশ রিটার্ন - এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

তাহলে বাফেট কিভাবে এই সফলতা পেলেন? একনিষ্ঠ পরিশ্রম ও খুঁটিনাটি বিষয়ে অদম্য মনোযোগ, নিঃসন্দেহে। কিন্তু তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি হাতিয়ার ছিল “সময়” ও “নিয়ন্ত্রণ” - এবং এই দুটি উপাদান যে কেউ নিজের সাফল্যের জন্য কাজে লাগাতে পারে।

সময়
১৯৬৫ সালের শেয়ারহোল্ডারদের চিঠিতে বাফেট এটিকে বলেছিলেন “মেথুসেলা কৌশল”: দীর্ঘ জীবন, উচ্চ রিটার্ন এবং এর সংমিশ্রণ।

আপনার আয় যত বাড়বে, রিটার্নের প্রভাবও তত বেশি জীবন বদলে দেওয়ার মতো হয়ে উঠবে।

মার্ক কিউবান বলেন, “ধার নেওয়া নয়, নিজের ঘাম ঝরিয়ে মূলধন গড়ে তোলাই প্রকৃত সাফল্য।”

নতুন কোম্পানি গড়ে তুললে, শুরুতে তার সমস্ত শেয়ার আপনার। পরিশ্রমের মাধ্যমে যে মূল্য তৈরি হয়, সেটাই হলো সোয়েট ইকুইটি  যা অন্য কাউকে শেয়ার বিক্রি না করে নিজের কাছে রাখার সুযোগ দেয়।

যখন আপনি অন্যের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন, তখন এর বিনিময়ে শেয়ার ছাড়তে হয় - অর্থাৎ, আপনার নিয়ন্ত্রণ কমে যায়।

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কখনোই ঐতিহ্যবাহী হেজ ফান্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো পরিচালিত হয়নি। এখানে লগ্নিকারীদের হাতে কোম্পানির সিদ্ধান্তের উপর তেমন প্রভাব নেই। ফলে বাফেট দশকের পর দশক ধরে যেকোনো বিনিয়োগ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন - যা তাকে সম্পদের উপর দীর্ঘমেয়াদি চক্রবৃদ্ধির সুবিধা নিতে সাহায্য করেছে।

আপনার জন্যও এই কৌশল কাজ করতে পারে।

আজই ভবিষ্যতের জন্য কাজ শুরু করুন। ব্যবসা শুরু করতে চান? আজই শুরু করুন - যেন সময় আপনার পক্ষে কাজ করে। সঞ্চয় শুরু করতে চান? আজই শুরু করুন।

আর নিজের সিদ্ধান্তের উপর যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ রাখুন। যেমন গেটসের আইবিএমের সঙ্গে চুক্তি, মার্ক জাকারবার্গের ইয়াহুর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কিংবা টেলর সুইফটের নিজস্ব অ্যালবাম পুনরায় রেকর্ড করা।

কারণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে, আপনি ঠিক করতে পারেন কিভাবে, কার সঙ্গে এবং কোথায় কাজ করবেন।

সময় ও নিয়ন্ত্রণ - এই দুই শক্তিকে কাজে লাগান, এবং গড়ে তুলুন নিজের স্বপ্নের জীবন।

সূত্র: https://shorturl.at/NDpwS

মিরাজ খান

×