ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান, প্রয়োজনে সহায়তায় প্রস্তুত ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ৮ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৫০, ৮ মে ২০২৫

যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান, প্রয়োজনে সহায়তায় প্রস্তুত ট্রাম্প

ছবি : সংগৃহীত

দুই প্রতিবেশী বৈরি রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তজুড়ে পাল্টাপাল্টি হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং প্রাণহানির ঘটনায় যুদ্ধাবস্থা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানকে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন-এর খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।

 

 

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, "আমি উভয় দেশকে ভালোভাবে চিনি এবং উভয়ের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ভালো। সত্যি বলতে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আমি চাই তারা থামুক, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিক।"

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা এখন পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়েছে। আমি আশা করি, অন্তত এখন তারা থামবে। আর আমি যদি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই করব।”

 

 

 

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত, যাতে ৩১ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানায়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ জন ভারতীয় নিহত হয়েছে।

 

 

 

এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, নিরপরাধ শহীদদের রক্তের বদলা আমরা নেব।” তার এই বক্তব্য পাকিস্তান সরকারের কড়া অবস্থান নির্দেশ করে।

 

 

 

চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রস্তুত আছি, যদি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ চায়, আমি তাদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা করতে রাজি।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্য ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকাকে নির্দেশ করছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি যেভাবে ঘনীভূত হচ্ছে, তাতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে উপমহাদেশ ভয়াবহ এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
 

আঁখি

আরো পড়ুন  

×