ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তানের ১২৫ বিমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় লড়াই!

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১১ মে ২০২৫; আপডেট: ২১:৪৯, ১১ মে ২০২৫

মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তানের ১২৫ বিমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় লড়াই!

ছ‌বি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ আকাশযুদ্ধ— ঘণ্টাব্যাপী এই লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় ১২৫টি যুদ্ধবিমান। স্যাটেলাইট এবং রাডার প্রযুক্তির সহায়তায় চালানো হয় আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই ভয়াবহ সংঘাতে কোনো পক্ষই একে অপরের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি, যা ডগফাইট ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুক’ অভিযানে অংশ নেয় ৭৫ থেকে ৮০টি যুদ্ধবিমান, যেগুলোর মধ্যে ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, রাশিয়ান সুখোই-৩০ এবং মিগ-২৯-এর মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট। এসব বিমান স্কাল্প ও স্পাইস ২০০০ মিসাইল বহন করছিল। অন্যদিকে পাকিস্তান প্রতিরক্ষায় ব্যবহার করে চীনের তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার এবং জে-১০সি মডেলের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি যুদ্ধবিমান, যেগুলো সজ্জিত ছিল পিএল-১৫ মিসাইলসহ।

মিসাইল রেঞ্জের মধ্যে আসতেই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, একে অপরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হতে থাকে মিসাইল। আকাশে লম্বা সময় ধরে চলে চোখ ধাঁধানো ডগফাইট। কখনো কখনো যুদ্ধবিমানগুলো একে অপরের মাত্র ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে। এতে যোগ দেয় পাকিস্তানের ভূমিভিত্তিক চীনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা HQ-9—যা লড়াইকে করে তোলে আরও জটিল ও ভয়ংকর।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ ও উচ্চমাত্রার আকাশযুদ্ধ। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে এত বড় ও স্থায়ী ডগফাইট আর দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তারা।

তবে ২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান বিমান সংঘাতের মতো এবার কোনো বিমান ভূপাতিত হয়নি বা কোনো পাইলট বন্দি হননি। সেবার ভারত এক মিগ-২১ বাইসন হারায় এবং এক পাইলটকে পাকিস্তানের হাতে বন্দি হতে হয়।

এই সাম্প্রতিক আকাশযুদ্ধ নতুন করে অঞ্চলটিতে সামরিক উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়েছে—তবে আকাশসীমা না লঙ্ঘন করেই সংঘর্ষ শেষ হওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=0It_1T0j0_U

এম.কে.

×