
ছবি: সংগৃহীত।
ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ইসলামাবাদের একটি বিস্ময়কর দাবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও দিল্লি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি এখনো আটকে আছে এ সংঘর্ষে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানগুলোতে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনীর ব্যবহৃত ফ্রান্সের তৈরি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান তারা গুলি করে নামিয়েছে। রাফাল হল ভারতের অন্যতম আধুনিক এবং ব্যয়বহুল ফাইটার জেট, যা দাসো এভিয়েশন কর্তৃক নির্মিত। আর এই দাবি সামনে আসার পরই দাসো এভিয়েশনের শেয়ার মূল্য কমেছে ৩.৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী তারা চীনের তৈরি চেংদু জে-১০ এবং জে-৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে এই অভিযানে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে চীনের প্রযুক্তির কার্যকারিতা স্পষ্ট হয়েছে এবং ফলে চীনের যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশনের শেয়ার মূল্য সপ্তাহের মধ্যে বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
এ ঘটনাকে শুধু একক সংঘর্ষ হিসেবে দেখছেন না আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বরং তারা বলছেন, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে দিন দিন ঘনিষ্ঠ সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘদিনের সহযোগিতা রয়েছে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার উন্নয়নে। এই সহযোগিতার মধ্য দিয়ে চীন শুধু অস্ত্র সরবরাহ করছে না, বরং পাকিস্তানকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বনির্ভর করে তুলছে।
নুসরাত