
ছবি: সংগৃহীত
যেকোনো ধরনের আক্রমণের জবাবে পাকিস্তান কঠোর ও চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে—এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, সদ্য সমাপ্ত সংঘাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাকিস্তান নয়, বরং ভারতই প্রথম দিয়েছিল।
সোমবার (১২ মে) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ এবং নৌবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব নেভাল স্টাফ (অপারেশনস) ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নেওয়াজ।
জেনারেল আহমেদ শরিফ স্পষ্ট বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হলে তার জবাব হবে “ব্যাপক, কঠোর এবং চূড়ান্ত”।
তিনি দাবি করেন, “আমি স্পষ্টভাবে রেকর্ডে রাখতে চাই, যুদ্ধবিরতির কোনো অনুরোধ পাকিস্তান থেকে করা হয়নি।”
বরং ৬ ও ৭ মে রাতে ভারতের “নৃশংস হামলার” পর ভারত নিজেই যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তার ভাষায়, পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছিল, “আমরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া না দেওয়া পর্যন্ত আলোচনা হবে না।”
১০ মে পাকিস্তানের পাল্টা জবাবের পর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের আহ্বানে পাকিস্তান ভারতের অনুরোধে সাড়া দেয়।
তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতিগুলোতে যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমনের আবেদন স্পষ্ট ছিল।
এই কঠোর বার্তার মাধ্যমে পাকিস্তান মূলত ভারতের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো আগ্রাসনের সম্ভাব্য কঠিন পরিণতির ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফারুক