
ছবিঃ সংগৃহীত
নানামুখী সংঘাতে জড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তিন ধনী উপসাগরীয় দেশ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার প্রথমেই যাবেন সৌদি আরবে। এরপর পর্যায়ক্রমে যাবেন কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই তিন ধনী দেশে ট্রাম্পের সফর নিয়ে শুরু হয়েছে নানা হিসেব নিকেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন সৌদি আরব, আমিরাত ও কাতার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে মরিয়া। আর তাই নিরাপত্তা চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিয়োগ এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলাদা ছক কষছে দেশগুলো।
সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার সৌদি আরবে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন বলে উপসাগরীয় কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বেশ কিছু গণমাধ্যম। এমনটা হলে হামাসকে ছাড়াই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে বাইডেনের আমলে ওয়াশিংটন-রিয়াদ সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় আশার আলো দেখছে রিয়াদ। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেশটির চাওয়া সামরিক নিরাপত্তা চুক্তি, একটি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন আর উচ্চমূল্যের অস্ত্র কেনার প্রতিশ্রুতি। বিনিময়ে রিয়াদ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে চায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, যা আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে সৌদি আরব। তবে তেলের দাম কমিয়ে রাখার ট্রাম্পের চাপ রিয়াদের স্বপ্নে ছাই দিতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।
ট্রাম্পের পরবর্তী গন্তব্য কাতার। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক কাতারের। আল উদাইদ ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি বাড়াতে নতুন চুক্তিও হয়েছে। তবে কাতার চায় সিরিয়ার উপর থাকা সিজার আইন প্রত্যাহার হোক। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাতারের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে একটি বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। ট্রাম্প দায়িত্ব ছাড়ার পর এটি তার প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে দান করা হবে। বিমানটির দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
কাতারের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ট্রাম্প। এআই ও সেমিকন্ডাক্টরে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিতে চায় আবুধাবি। যুক্তরাষ্ট্রে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা সামনে এনেছে আমিরাত। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাইডেন আমলের চিপ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্পের সফরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, যা আমিরাতের জন্য হবে বড় কূটনৈতিক জয়।
মারিয়া