ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সড়কে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

হাসিব রহমান, ভোলা

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১২ মে ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪১, ১২ মে ২০২৫

সড়কে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

ভোলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়কে সিএনজি অটো রিকশা চলাচলের উপর শর্তারোপ প্রত্যাহার ও আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। এদিকে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ৭ দিন ধরে ভোলা জেলায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার (১২ মে) দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সিএনজি অটো রিকশা শ্রমিক ও মালিক সমিতির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে শ্রমিক ও মালিকরা বলেন, গত ৪ মে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের দ্বন্দ্বের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ৬ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির মুখে জেলা প্রশাসক সিএনজি চালকদেরকে ভোলার দক্ষিণ আইচা থেকে পরানগঞ্জ পর্যন্ত রুট নির্ধারণ করে দেন এবং পাঁচজনের স্থলে তিনজন করে যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত দেন। পরানগঞ্জ থেকে ইলিশা ঘাট পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। 

কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে ভোলার দক্ষিণ আইচা থেকে ইলিশা ঘাট পর্যন্ত সকল সড়কে পাঁচজন করে যাত্রী নিয়ে সিএনজি নির্বিঘ্নে চলাচল করে আসছে। কিন্তু বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সিএনজি চালকদের ওপর এ অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। অথচ পরানগঞ্জ থেকে ইলিশা ঘাট পর্যন্ত এ সাত কিলোমিটার সড়কে বৈধ ও অবৈধ সকল যানবাহন চলাচল করতে পারলেও শুধু মাত্র সিএনজির জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সিএনজি চালকদের জন্য যেমন অমানবিক তেমনি যাত্রীদেরও হয়রানির শিকার হতে হবে। চরফ্যাশন ঢাকা অথবা চট্টগ্রামগামী একজন যাত্রীকে ঘাট থেকে সাত কিলোমিটার আগে নামিয়ে দেওয়া হলে সে হয়রানির শিকার হয়ে আর সিএনজিতে উঠবে না। এছাড়াও ভোলায় যে সকল সিএনজি চলাচল করে সেগুলো চলে এলপিজি গ্যাসে। তিন জন করে যাত্রী বহন করলে চালকদের লোকসান গুনতে হবে। তাই এই দুইটি শর্ত সিথিল করে সিএনজি চালকদের চলাচল নির্বিঘ্নে করার দাবি জানান । 

ভোলা জেলা সিএনজি অটো রিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান জানান, ‘গত কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসক থেকে ভোলার ইলিশ থেকে পরানগঞ্জ পর্যন্ত সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ কয়েকটি শর্তারোপ বা দিক নির্দেশনা জারি করায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ করেন গত ৭ দিন ধরে ভোলা জেলায় সিএনজি অটো রিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে কয়েক শত পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই দ্রুত প্রশাসনের শর্ত শিথিল করার জন্য দাবি জানান।’

পরে বিক্ষোভকারী শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মিরাজ খান

×