
ডোনাল্ড ট্রাম্প
কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল উড়োজাহাজ (বোয়িং জেট) উপহার হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, উপহারের উড়োজাহাজটিকে ট্রাম্প এয়ারফোর্স ওয়ান (প্রেসিডেন্টের সরকারি উড়োজাহাজ) হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের জন্য রেখে দেবেন।
প্রতিবেদনে উড়োজাহাজটিকে ‘উড়ন্ত রাজপ্রাসাদ’ অভিহিত করা হয়েছে। বোয়িং ৭৪৭-৮ জাম্বো জেট নামের উড়োজাহাজটি সম্ভবত মার্কিন সরকারের ইতিহাসে পাওয়া সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপহার হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা কোনো রাজা, যুবরাজ বা বিদেশী রাষ্ট্র থেকে উপহার গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে ট্রাম্প তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উড়োজাহাজটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জন্য গড়ে তোলা সংগ্রহশালায় হস্তান্তর করে বিধানটিকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বোয়িং ৭৪৭-৮ জাম্বো জেটটি বছর দশকের পুরনো। এটির বাজারমূল্য ৪০ কোটি ডলার।
দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিমানটির মালিকানা ট্রাম্প প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে উড়োজাহাজটি গ্রহণ করা হবে। যদিও এটি গ্রহণ করতে কিছু সময় লাগবে। তবে প্রেসিডেন্টের এই সপ্তাহে কাতার সফরের সময় এটি নিয়ে আলোচনা হবে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাম্পকে এই উড়োজাহাজটি উপহার দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হলে ট্রাম্প সানন্দে এটি গ্রহণ করেছেন।
কাতারের বিমান উপহারের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউসও। এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, আইন মেনেই বিদেশী সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিদেশী সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো উপহার সর্বদা প্রযোজ্য সকল আইন মেনে গ্রহণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন পূর্ণ স্বচ্ছতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ওয়াশিংটনে কাতার দূতাবাসে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তা আলি আল আনসারি বলেন, এয়ারফোর্স ওয়ান হিসেবে সাময়িক ব্যবহারের জন্য একটি উড়োজাহাজ সম্ভাব্য হস্তান্তরের বিষয়ে কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আল-আনসারি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন। এ সফর চলাকালে উড়োজাহাজের বিষয়ে পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। -এবিসি নিউজ