
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের বিবৃতিটি পোস্ট করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধসংক্রান্ত ১২ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন) কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খর্ব করা হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সরকার বলেছে, গত প্রায় ১৫ বছর, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলা গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অপরাধের অভিযোগে সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সংগঠনগুলো গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হামলা ও উসকানি প্রদানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। এতে বিশেষ করে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে, যা বিচার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বিঘ্ন করার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
রাকিব