
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে জমি নিয়ে বিরোধ একটি দীর্ঘদিনের সাধারণ সমস্যা। বৈধ মালিক হয়েও অনেক সময় মানুষ আতঙ্কে থাকেন—আজ বা কালই হয়তো কেউ জোর করে তার জমি দখল করে নেবে। এমতাবস্থায় দ্রুত আইনি প্রতিকার নেওয়া জরুরি।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ রাসেল মোহাম্মদ লিটন জানান, যদি আশঙ্কা হয় জমি জোরপূর্বক দখল হতে পারে, বিশেষত তাৎক্ষণিকভাবে—আজ বা রাতেই—তাহলে মালিককে দ্রুত দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪৫ ধারার অধীনে এডিএম কোর্টে দরখাস্ত করতে হবে।
এই ধরণের দরখাস্তে উল্লেখ করতে হবে, জমিটি এতদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে রয়েছে এবং এখন জোরপূর্বক উচ্ছেদ বা দখলের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
আইন অনুযায়ী, এ ধরণের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড ও থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং উভয় পক্ষকে নোটিশ পাঠিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে আদালতের নজরে বিষয়টি চলে আসে এবং কোনও পক্ষ জোরপূর্বক কিছু করতে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
শেখ রাসেল মোহাম্মদ লিটন বলেন, এই আইনি পদক্ষেপ জমির প্রকৃত মালিককে তাৎক্ষণিকভাবে এক ধরনের নিরাপত্তা দেয়। শান্তিপূর্ণ দখল বজায় থাকে এবং ভবিষ্যতে যদি সিভিল কোর্টে মালিকানা বা দখল নিয়ে মামলা করতে হয়, তখন এই প্রক্রিয়াটি সহায়ক হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জমি দখলের আশঙ্কা দেখা দিলেই নীরব না থেকে তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা নেওয়া উচিত। কারণ জমির মালিকানা থাকলেও দখল হারিয়ে গেলে তা ফিরে পেতে দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল আইনি প্রক্রিয়ায় পড়তে হয়।
এসএফ