ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিকতা, মে মাসেই হতে পারে নতুন রেকর্ড!

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৩ মে ২০২৫

রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিকতা, মে মাসেই হতে পারে নতুন রেকর্ড!

ছবি: প্রতীকী

দেশ থেকে অর্থপাচার ও হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমে আসায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রবাসী আয়ের ধারায় আসে গতি। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

এবার আয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি অর্থ বছরের ৭ মে পর্যন্ত এসেছে ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির এই ধারা এবছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে রেকর্ড গড়েছে। মার্চে এসেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। এরপর এপ্রিলেও এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি মে মাসের প্রথম সাত দিনেই দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার সমপরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। প্রতিদিন গড়ে আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স, যার ফলে চলতি মাসে মোট রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের তুলনায় এবারের প্রবৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে দেশে এসেছিল প্রায় ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সেই হিসেবে এবারে রেমিট্যান্স বেড়েছে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫৫৫ কোটি ডলার বেশি। অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২৫৩ কোটি ডলার।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, হুন্ডির প্রবাহ কমিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দেওয়া এবং সরকার ঘোষিত ইনসেনটিভ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এ বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।

রাকিব

×