
ছবিঃ সংগৃহীত
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বেড়ে চলেছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু চোরাচালানের প্রবণতা। বিশেষ করে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
লালমনিরহাট জেলার সাতটি সীমান্ত পয়েন্ট, ঠাকুরগামের হরিপুর ও কাঠালডাঙ্গি, কুমিল্লার পাঁচটি সীমান্ত, এবং কক্সবাজারের রামু ও বান্দরবানের নাইখংছড়ি উপজেলার ‘বৃষ্টি পয়েন্ট’ দিয়ে প্রতিদিনই শত শত ভারতীয় ও মিয়ানমারের গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নদীপথ ব্যবহার করেই এই চোরাচালান চলছে।
যদিও ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলছে এবং বাংলাদেশ সরকারও জানিয়েছে যে, ঈদের জন্য বিদেশি গরু আমদানির প্রয়োজন নেই—তবু বাস্তবতা হলো, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত গরু আসছে সীমান্ত দিয়ে।
দেশীয় গরু খামারিরা বলছেন, এভাবে বিদেশি গরু বাজারে প্রবেশ করলে তারা বিপুল লোকসানের মুখে পড়বেন। তাদের দাবি, এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে গরু চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
স্থানীয় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। অনেকে দাবি করছেন, জনপ্রতিনিধিরা এসব সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্তেও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেও গরু চোরাচালান থেমে নেই। থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে আনা এসব গরুর মাধ্যমে প্রতি বছর শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানান, তারা নিয়মিত সীমান্তে নজরদারি করছেন এবং গরু চোরাচালান ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশীয় খামারিরা কোরবানির হাটে ন্যায্য দাম পাওয়ার জন্য বিদেশি গরুর প্রবেশ বন্ধের বাস্তবায়ন চান, শুধু আশ্বাস নয়।
মারিয়া