ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

স্টেশন চত্বরে হাঁটু পানি, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে, দেখার কেউ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১২ মে ২০২৫

স্টেশন চত্বরে হাঁটু পানি, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে, দেখার কেউ নেই

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় হাজারো যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই চত্বরটিতে হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে ট্রেন থেকে নামা ও ট্রেন ধরতে আসা হাজারো যাত্রীকে স্টেশন চত্বরে জমে থাকা নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীরা নোংরা পানি মাড়িয়ে যাওয়ার সময় অনেকের জামা কাপড় নষ্ট হয়।

জানা যায়, স্টেশন চত্বরটি রাস্তা থেকে নিচু থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। বেশি বৃষ্টি হলে প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। চত্বরের দক্ষিণ পাশে পৌরসভার একটি ড্রেন থাকলেও ময়লা আবর্জনায় ভরা থাকার ফলে স্টেশন চত্বরের পানি যেতে পারে না। স্টেশন কর্তৃপক্ষ পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে ৫ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন বেশ কয়েক বছর ড্রেন না থাকায় আমাদের কপালে এই অবস্থা। সোমবার দুপুরে স্টেশন চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া ট্রেন দাঁড়ালে যাত্রীরা স্টেশন চত্বরে জমে থাকা নোংরা ময়লা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন।

ট্রেন থেকে নামা যাত্রী হোসেনপুর উপজেলার বাসিন্দা মোবারক, আলাল বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল পথের সকল আন্তঃনগর ট্রেন এই স্টেশন যাত্রা বিরতি থাকায় আশপাশের উপজেলার হাজারো যাত্রী এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন। কিন্তু স্টেশনের যে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তা অকল্পনীয়। দেখুন স্টেশন চত্বরটি যেন একটা বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, খুবই খারাপ অবস্থা। বৃষ্টি হলে টিকিট কাউন্টার ও স্টেশন মাস্টারের কক্ষেও পানি জমে যায়। আর স্টেশন চত্বরের ময়লা পানির জন্য যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন না। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। ইতিপূর্বে একাধিক বার কর্মকর্তারা স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করে গেছেন। হয়তো সংস্কার করা হবে।

এ ব্যাপারে জান্তে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জনকন্ঠকে বলেন, রেলস্টেশন কতৃপক্ষেকে বলা হয়েছে পৌরসভায় আবেদন করতে তারা আবেদন করে নাই, তবু পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫০ মিটার ড্রেনের কাজ করে দিতে।

আসিফ

×