
ছবি:সংগৃহীত
নেত্রকোনায় জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সদর উপজেলার আমলী কেশবপুর গ্রামের জনৈক সুমন মিয়া বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
রবিবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হলেও তা প্রচারে আসে সোমবার সন্ধ্যার পর।
মামলাটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন (ভিপি লিটন), সংরক্ষিত আসনের সাবেক দুই নারী সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা অপু উকিল ও হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, নেত্রকোনা পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খানসহ ২৫২ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামী করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরও ৭-৮শ জনকে। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন আসামীর তালিকায়, যাদের অনেকে এর আগেও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আসামীরা ২০২৩ সালের ২২ মে সকাল ১১টায় জেলা সদরের ছোটবাজারে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পণ্ড করার জন্যে রামদা, লাঠি, লোহার রড, ককটেল ও ইটপাটকেলে সজ্জিত হয়ে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। এছাড়া টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ ছাড়াও ট্রাক, সিএনজি, অটোরিক্সা ভাঙচুর এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৫০-৬০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। বাদী উল্লেখ করেন, এসব অপরাধ করে আসামীরা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা লংঘন করেছেন।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েক আসামী ইতিপূর্বে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আলীম