ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

র‌্যাব পুনর্গঠনে কমিটি

পুলিশের হাতে থাকবে না কোনো মারণাস্ত্র 

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ১২ মে ২০২৫

পুলিশের হাতে থাকবে না কোনো মারণাস্ত্র 

পুলিশের হাতে থাকবে না কোনো মারণাস্ত্র 

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাব পুনর্গঠনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। তবে তাদের অবৈধ দাবি বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমাদের মিটিংয়ের বেশিরভাগ আলোচনা হয়েছে র‌্যাব পুনর্গঠন নিয়ে। র‌্যাবের পুনর্গঠন কিভাবে হবে, এটা এ নামে থাকবে কি না, এ ড্রেস থাকবে কি না, এ ফোর্স থাকবে কি না বা কিভাবে অর্গানাইজ হবে- এজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বাহিনী প্রধানদের এটার সদস্য করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির মোট সদস্য ৫ বা ৬ জন, তারা প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। 
এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। তিনি প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষযক দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদুল আজহার আগে পরিশোধ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টদের মনে করিয়ে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য তাদের বেতন দিতে হবে। যেসব শ্রমিক তাদের অবৈধ দাবি নিয়ে রাস্তায় হাঁটে, তাদের সেটা করতে দেব না। শ্রমিকদের বৈধ দাবি অবশ্যই মালিকদের পূরণ করতে হবে। অবৈধ দাবি কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের গরুর হাটে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সাধারণ মানুষ। সে জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি. হাট কমিটি স্বেচ্ছাসেবক রাখে শুধু হাসিলের টাকা দিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য; আমরা এবার বলেছি, প্রতি হাটে ১০০ আনসার সদস্য রাখতে হবে। তারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে।

একই সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘেœ বাড়িতে যেতে পারেন। রাস্তায় যেন কোনো রকমের চাঁদাবাজি না হয়। গোয়েন্দা সংস্থাকে বলে দেওয়া হয়েছে, কোথাও যদি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় তারা ব্যবস্থা নেবে।

আরো পড়ুন  

×