
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে তিনি বাণিজ্য বন্ধের হুমকি ব্যবহার করেছেন।
হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি উভয় দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তারা সংঘাত বন্ধ না করে, তাহলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না। তিনি বলেন, “আমি তাদের বলেছি, যদি সংঘাত বন্ধ হয়, তাহলে আমরা বাণিজ্য করতে পারব। না হলে কোনো বাণিজ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে দুই দেশের নেতৃত্ব যে বিচক্ষণতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। “তারা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে এবং যথার্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছে,” মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, কূটনীতির ক্ষেত্রে তিনি একটি ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, যেখানে বাণিজ্যকে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। “এইভাবে আগে কখনো বাণিজ্য ব্যবহার করা হয়নি, আর হঠাৎ করেই তারা পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেয়—এবং নিয়েছে,” বলেন তিনি।
এর আগে, দিনের শুরুতে পাকিস্তান ও ভারতের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেন। চার দিনের তীব্র সংঘর্ষের পর শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যেখানে তিনি বলেন, এই আগ্রাসন থামানো জরুরি, কারণ তা ভয়াবহ ধ্বংস ডেকে আনতে পারত।
যদিও উভয় দেশ এখন অস্ত্রবিরতিতে রয়েছে, তবুও তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হলে তার পরিণতির ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে নিরাপত্তার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় খুলে দিয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে শুরু হওয়া এই সংঘাত প্রায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে যাচ্ছিল। উভয় পক্ষই সীমান্তে তীব্র গোলাগুলিতে হতাহতের খবর দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর উভয় দেশই নিজেদের সামরিক বিজয়ের দাবি করেছে। ভারত জানায়, তারা পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের বিভিন্ন স্থাপনা টার্গেট করেছে।
সূত্র: https://pakobserver.net/no-peace-no-trade-trumps-tough-stance-that-stopped-pakistan-india-conflict/
এএইচএ