ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

দলগত পারফর্মেন্সে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চান লিটন দাস, যে কোনো মূল্যে কমাতে চান ডট বল

সাফল্যের খোঁজে নতুন অধিনায়ক

ফয়সাল আহমেদ

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ১৩ মে ২০২৫

সাফল্যের খোঁজে নতুন অধিনায়ক

টি২০ অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে আসেন লিটন দাস, সোমবার মিরপুর  শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে

সাফল্য হলো প্রত্যাশার একটি নির্দিষ্ট পরিসর পূরণের অবস্থা বা শর্ত। আর সেই প্রত্যাশা ক’জনইবা পূরণ করতে পারেন? এটি করতে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, তীব্র আকাক্সক্ষা, ধৈর্য ও নিজের প্রতি অগাধ বিশ^াস। তবে এবার সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ টি২০ ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগাররা নিজের সেরাটা দিতে পারলেও ছোট্ট ফরম্যাটের টি২০তে অনেকটা যবুথবু অবস্থা। এবার সেই অবস্থা থেকে দলীয়ভাবে ভালো পারফরর্ম্যান্স করতে পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি ডট বল কমানোর কথা বলেছেন নতুন অধিনায়ক লিটন। আর এই টেকনিক কাজে লাগালে টি২০ ক্রিকেটে ভালো সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
১৭ ও ১৯ মে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে বুধবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ। সোমবার মিরপুরে সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন, ‘টানা আন্তর্জাতিক খেলা থাকলে স্কিল উন্নতির সময় তেমন পাওয়া যায় না। ম্যাচের পর ম্যাচ খেলতে থাকলে, ম্যাচের ইন্টেন্সিটির কারণে স্কিলের কাজটা করার সুযোগ হয় না।

তাই এটা একটা বাড়তি সুযোগ যে, আমরা অনেকদিন ধরে স্কিল নিয়ে কাজ করছি। স্কিল মানেই এই না যে, অবশ্যই পাওয়ার হিটিং চলছে, টি২০ ক্রিকেটে সবাই জানি বড় শট খেলতে হয়। একই সঙ্গে যে যত (কম) ডট বল খেলতে পারে, তাদের জন্যই কিন্তু সুবিধা। তাই দুটি দিক নিয়েই কাজ করছি।’
আগামী বছরের টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পাওয়া লিটনের ভাবনা কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ক্রিকেট না খেলে ক্রিকেটারদের কাছে নির্দিষ্ট ম্যাচ অনুযায়ী পারফর্ম্যান্সের আশা। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘ব্র্যান্ডেড ক্রিকেট (খেলব), আমি এটা বলব না। আমি যেভাবে চিন্তা করছি, কোনো কোনো ম্যাচে ১৮০-২০০ রান তাড়া করতে হতে পারে। কোনো ম্যাচে ১৪০-১৪৫ তাড়া করতে হবে। কীভাবে খেললে ম্যাচটা জিততে পারি, সেটা মূল লক্ষ্য।

হতে পারে কেউ এক ম্যাচে ২০ বলে ৪০ রান করল, আবার একই ব্যাটসম্যানের পরের দিন ২০ বলে ১৫ রানও করতে হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, প্রতিটা ক্রিকেটার যেন ম্যাচে সম্পৃক্ত থাকে। তারা যেন বোঝে, ওই ম্যাচে তার কাছে দলের চাহিদা কী। আমার মতে, কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার চেয়ে, প্রতিটা ক্রিকেটার যদি বোঝে যে দল আমার কাছে এই জিনিসটা চাচ্ছে, তাহলে আমাদের ফল বেশি আসবে।’
এদিকে, কয়েকদিন ধরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির। লাল বলের খেলা থেকে কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও সাবেক ক্রিকেটাররা অবসর না নেওয়ার পরামর্শ ও অনুরোধ করলেও সব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ইতি টানলেন বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের। এ বিষয়ে লিটন বলেন, ‘এই অধিকার সবারই আছে যে, কোন সময়টা তারা ক্রিকেট খেলবে, কোন সময়টা খেলবে না। তিনি যথেষ্ট পরিণত। তার সিদ্ধান্তকে আমার প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। সে যা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, সেটা শুধু ভারতের জন্য নয়। টেস্ট সংস্করণকে অনেকখানি আক্রমণাত্মক করেছে। তার আচরণ বলেন, ক্রিকেটের জ্ঞান বলেন, এ রকম একজন খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেট খেলবে না।’ ভারতের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে টেস্ট খেলতে নামলে কোহলি থাকবেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এতে খুশি হওয়ার কথা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। কিন্তু কোহলির প্রতি সম্মান জানিয়ে লিটন বলেন,‘একটা সময় তো সব খেলোয়াড়কেই অবসরে যেতে হয়, কিন্তু যদি আমি কখনো ভারতের সঙ্গে খেলি, আমি অবশ্যই মিস করব (কোহলিকে), যেহেতু আমি অনেকদিন খেলেছি।’
খেলার মাঠে কোহলির আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ে এই অধিনায়ক বলেন, ‘সে অনেক ভদ্র। মাঠের মধ্যে অনেক সময় অনেক আক্রমণাত্মক মনে হয়।’

×