
মৌসুমে চার এল ক্লাসিকোর সবকটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ধসিয়ে দেওয়ার পর বার্সেলোনার তারকাদের উদ্যাপন
স্প্যানিশ লা লিগায় চলতি মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ¦ী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। টানটান উত্তেজনার ৭ গোলের ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা। আর তাতেই ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। প্রথমবারের মতো ১৯৮২-৮৩ মৌসুমের পর এক মৌসুমে চার ক্লাসিকো হারলো কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। শিরোপা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবেগে ভাসতে চায় না তারা।
রবিবার ম্যাচের শুরুতেই ২ গোল করে দলকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপে। ঘরের মাঠে রিয়ালকে হারাল ৪-৩ গোলের ব্যবধানে। এতে বৃথা যায় ফরাসি তারকা এমবাপের হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ৫, ১৪ ও ৭০ মিনিটে তিনটি গোলই করেন এই ফ্রান্সের বিশ^কাপজয়ী তারকা। দুর্দান্ত এই জয়ে রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে কাতালোনিয়ার দলটি।
লিগে বাকি তিন ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট পেলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে বার্সেলোনার। রিয়াল পয়েন্ট হারালেও সমীকরণ মিলে যাবে দলটির। কোপা দেল রে জয়ের পর আরেকটি শিরোপার সুবাস পেয়ে রোমাঞ্চিত ফ্লিক। তবে এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ এই কোচ।
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এখনও নিজেদেরকে চ্যাম্পিয়ন মনে করছি না আমি। আমার বিশ্বাস, ফুটবলাররা ও গোটা দলও এভাবেই ভাবছে। লা লিগা ও কোপা দেল রের ডাবল জিততে পারা দারুণ হবে এবং হ্যাঁ, আর একটি জয় পেলেই কাজ হয়ে যাবে। তার পরও, এটা ফুটবল, নিশ্চিত বলে কিছু নেই।’ ফ্লিক আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ভালো অবস্থানে আছি, তবে কেউ জানে না কী হতে পারে।
তিনটি ম্যাচ আছে আমাদের সামনে এবং সব প্রতিপক্ষই আমাদের হারাতে চায়। কাজেই মনোযোগ ধরে রাখতে হবে আমাদের। ২-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয়। তবে এই দলের মানসিকতা অবিশ্বাস্য। যেভাবে তারা ফিরে আসে, বিরামহীম আক্রমণ চালিয়ে যেতে চায় মাঠে ওদেরকে দেখাটাই দারুণ ব্যাপার।’
বার্সেলোনার হয়ে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন এরিক গার্সিয়া। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। তার ২ মিনিট পরই রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে ব্যবধান ৪-২ করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৪৩তম মিনিটে এমবাপ্পের পেনাল্টির আবেদন অফসাইডে বাতিলের পরপরই ১৮ গজের বক্সে বল হারান লুকাস ভাসকেস। সঙ্গে সঙ্গে বল কেড়ে নেন রাফিনিয়া। তরেসের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন।
ম্যাচের দি¦তীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। কাক্সিক্ষত সেই গোলটি আসে ম্যাচের ৭০তম মিনিটে। বক্সের ভেতরে এমবাপ্পের উদ্দেশে বল বাড়ান ভিনিসিয়ুস। গোল মুখের সামনে থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান এমবাপ্পে।
আর তাতেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফরাসি এই তারকা। এরপর বাকি সময়টা আক্রমণ চালালেও শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয় পায় বার্সেলোনা। এ জয়ে লিগ শিরোপার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেলো হান্সি ফ্লিকের দল।