
ছবি : সংগৃহীত
টানা চার দিন ধরে চলা সংঘাতের পর যুদ্ধবিরোতির পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (১১ মে) আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেছে ভারত ও পাকিস্তান। এতে আবারও পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও অভিযোগ তুলে ধরেছে দুই প্রতিবেশী দেশ।
ইসলামাবাদ থেকে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেন, *পাকিস্তান কখনোই যুদ্ধবিরোতির অনুরোধ করেনি*। বরং ৬ ও ৭ মে ভারতের ‘কাপুরুষোচিত হামলা’র পর নিজেরা মীমাংসার অনুরোধ জানিয়েছে। তিনি বলেন,
“আমি ২০০% নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, আমাদের সেনারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরোতি মেনে চলছে। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি। কেউ যুদ্ধবিরোতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”
পাকিস্তান নিজেকে *শান্তিপ্রিয় জাতি* হিসেবে দাবি করলেও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধবিরোতিতে তারা *“অপারেশন সিন্দুর” সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান,
“আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, তা অর্জন করেছি। পাইলটরাও নিরাপদে ঘরে ফিরেছে।”
ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে জানায়, পাকিস্তান যদি যুদ্ধবিরোতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করে, তবে সেই চেষ্টার উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত।
টানা সংঘাতের পর নিয়ন্ত্রণ রেখার (LoC) দুই পাশের সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। যদিও দুই দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক ভাষ্য একে অপরকে দোষারোপ করে যাচ্ছে, তবে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আংশিক স্বস্তির আবহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই যুদ্ধবিরতি এবং এর পরবর্তী কূটনৈতিক অবস্থান ভবিষ্যতের দক্ষিণ এশীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
আঁখি