
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল যখন ঠিক সেই সময় শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হস্তক্ষেপে দু’দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে এর মধ্যেই সামনে এসেছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সামরিক দুর্বলতার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সাম্প্রতিক সংঘাতকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ "ড্রোন যুদ্ধ" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দুই পক্ষই ব্যাপকভাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। উত্তেজনার সূচনা হয় কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই। এরপর ৭ মে পাকিস্তানের নয়টি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ১০ মে মধ্যরাতে ভারত আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
জবাবে, ১০ মে ভোর থেকে পাকিস্তান ভারতের ওপর পাল্টা হামলা শুরু করে। এই হামলায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ভারতের অন্তত ১১টি সামরিক স্থাপনা, যার মধ্যে অন্যতম পাঞ্জাবের অমৃতসর অঞ্চলে অবস্থিত ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগার।
মাত্র ৮৭ ঘণ্টার এই সংঘাতে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাইকেল সোব্রিজ। তার মতে, উভয় পক্ষই একে অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হলেও নিজ নিজ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ঘাটতি স্পষ্ট হয়েছে।
ভারতের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করে সোব্রিজ জানান, পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং অত্যাধুনিক চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের রাফালসহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে। যদি এ তথ্য সঠিক হয়, তবে তা ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংকেত বহন করে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে। ভারত ফ্রান্সের তৈরি স্ট্রম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর আঘাত হেনেছে। সোব্রিজ জানান, পাকিস্তানের চীন-নির্ভর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা* এই হামলাগুলো ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
উভয় দেশের সামরিক সীমাবদ্ধতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্ভরতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে এখন আলোচনার কেন্দ্রে। বিশেষ করে চীনের সরবরাহকৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ফ্রান্সের প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
এই সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও, এই তথ্যগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধনীতির ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আঁখি