জনদুর্ভোগ সৃষ্টি নিয়ে সংবাদ ও অভিমত
সংবাদপত্রে নানা সময়ে রাস্তা আটকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি নিয়ে সংবাদ ও অভিমত প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি কয়েক বছর আগের হলেও এখানে সেটি উল্লেখ করছি কেননা এমনটি আজও চলে আসছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মূল ফটকের সামনের সড়ক দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ রেখে সীমাহীন জনদুর্ভোগ ও রোগী-স্বজনদের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবাদ সমাবেশে আসা লোকজনকে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিল প্রবর্তক মোড় থেকে চকবাজার যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এ সময় প্রবর্তক, চকবাজার এলাকায় সীমাহীন যানজট সৃষ্টি হয়।
এ সময় গাড়িচালক, যাত্রী, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরাও দুর্ভোগে পড়েন। বিএমএর রোষানলে পড়ার ভয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সিনিয়র-জুনিয়র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় ব্যাহত হয় হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।
বিষয়টি স্বীকার করে একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, জরুরি বিভাগে ডাক্তার ছিল। তবে ওয়ার্ডের বেশিরভাগ চিকিৎসক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ছিলেন চমেকের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। অবরোধের কারণে যানজটে আটকে পড়া রিকশার যাত্রী আমেনা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষিত মানুষ যদি মূর্খ লোকের মতো সড়ক অবরোধ করে এ জাতির ভবিষ্যৎ কী! এক ঘণ্টা হলো রাস্তায় আটকে আছি।
চমেক হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ১৩১৩ শয্যার এ হাসপাতালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ১ হাজার ১০০ চিকিৎসক রয়েছেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কয়শ’ ডাক্তার গেছেন! চিকিৎসাসেবার জন্য ওয়ার্ডে, আউটডোরে অনেক চিকিৎসক ছিলেন।
নগরের মেহেদিবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আড়াই বছর বয়সী রাইফার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাংবাদিক নেতারা কথা বলার সময় বিএমএ নেতারা বাধা দিলে সাংবাদিকরা ওই সভা বয়কট করে আন্দোলনের ডাক দেন।
চট্টগ্রাম থেকে