
.
সেপ্টেম্বর বিদায় নিতে চলেছে, কিন্তু রেখে যাচ্ছে অনেক কষ্টের অভিজ্ঞতা। ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে প্রায়।
ডুবন্ত মহানগরী মানুষের মহাদুর্ভোগ
তুমুল বৃষ্টির ভেতরে যারা ঢাকার রাস্তায় ছিলেন, তারাই জানেন ভোগান্তি কত প্রকার ও কী কী। গোটা বর্ষাকালেও এমন প্রবল বৃষ্টি হয়নি ঢাকায়। ফলে জলজট, যানজট ও পানিবন্দী দশার শিকার ঢাকাবাসীর ক্ষোভ ও ভর্ৎসনার আঁচ পাননি মেয়রদ্বয়। এবার পেলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। টানা কয়েক ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি ঝরেছে। সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়া। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা তলিয়ে যায়। মহাযানজট হয়। এতে কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিপুল বিচিত্র ভোগান্তিতে পড়েন রাতে ঘরমুখী মানুষ। মিরপুরে কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে জলাবদ্ধ সড়কে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে জলমগ্ন সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন একই পরিবারের চারজন। তাদের তিনজনই মারা গেছেন। ওই পরিবারের সাত মাস বয়সী এক শিশু গুরুতর অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের ভাষ্যমতে, এই পরিবারকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক তরুণ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। টানা বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীদের যে দুর্ভোগ, তা ভাষায় প্রকাশের নয়। নানা সমস্যা ও চাপে ভারাক্রান্ত ঢাকা এবার বৃষ্টিতে ডুবতে বসেছে।
উড়োজাহাজ : বিস্ময় ও জীবনবদল
পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েতগামী বিমানে উঠে আলোচনায় আসা শিশু জুনায়েদ মোল্লাকে নিয়ে নানা গল্প ফাঁদা হচ্ছে। তার শখও পূরণ হয়েছে অবশেষে। অনুসন্ধানে যেটুকু বুঝেছি, কাছ থেকে উড়োজাহাজ দেখার কৌতূহলই শিশুটিকে বারবার বিমানবন্দর হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। তিন মাসে চারবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায় সে। চতুর্থবার সে সফল হয়। বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী ডিউটি পাস ব্যবহার করে চলাফেরা করেন। আর যাত্রীরা পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস নিয়ে চলাফেরা করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ঢুকে ইমিগ্রেশনসহ প্রায় ৮-১০টি ধাপ পেরিয়ে প্লেনে চড়তে হয়। কোনো ধাপেও শিশুটিকে না আটকানোর বিষয়টি নিরাপত্তাহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন অনেক যাত্রী।
শিশু জোনায়েদের কা- পড়ে বহু বছর আগে এক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়ল। বিমানের খোলে ঢুকে পড়েছিল এক গ্রামীণ তরুণ, তার করুণ মৃত্যু হয়। বিমানের চাকার খোলে লুকিয়ে বিদেশে যেতে চাইলে মৃত্যু নিশ্চিত। তবু এমন ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত আকর্ষণীয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিবিসি বাংলা। কিছু অংশ পাঠকের উদ্দেশে তুলে দিচ্ছি।
বিমানের চাকার খোপের মধ্যে লুকিয়ে ব্রিটেনে অভিবাসী হবার চেষ্টা করতে গিয়ে মারা যাওয়া কেনিয়ান যুবকের ঘটনাটি সারা দুনিয়ায় মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে। এরকম মৃত্যু এই প্রথম নয়। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশেরও এক তরুণ চট্টগ্রাম থেকে ওড়া একটি বিমানের চাকার খোপে লুকিয়ে সৌদি আরব যাবার চেষ্টা করেছিল বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। বিমানটি সৌদি আরব অবতরণ করার পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
কিন্তু এভাবে যারা আরেক দেশে যেতে চায় তারা ঠিক কোথায় এবং কিভাবে লুকিয়ে থাকে? বিমানটি যখন আকাশে উড়ছে তখন সেখানকার পরিবেশ কেমন হয়? আর, কেউ এরকম করলে তার মৃত্যু কি অনিবার্য? নাকি কেউ কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচেও যেতে পারে? লন্ডনে অবতরণের আগে- নাইরোবি থেকে আসা কেনিয়ান এয়ারওয়েজের বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারের ঢাকনা খোলার পর- লুকিয়ে থাকা লোকটির মৃতদেহ পড়ে যায় ক্ল্যাপহ্যাম এলাকার এক বাড়ির বাগানে। বিস্ময়করভাবে, এত উঁচু থেকে পড়লেও তার মৃতদেহটি প্রায় অক্ষত ছিল। কিন্তু ভালো করে দেখার পর পরিষ্কার হয় : কেন তা ঘটেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন : লোকটির দেহটা জমে গিয়ে একটা বরফের টুকরোর মতো হয়ে গিয়েছিল।
ইউরোপে স্থলপথে বা সমুদ্র পার হয়ে অভিবাসী হবার চেষ্টা প্রতিনিয়তই ঘটছে, কিন্তু বিমানে লুকিয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা বেশ বিরল। এর কারণ অনুমান করা কষ্টসাধ্য নয়। এভিয়েশন সাংবাদিক ডেভিড লিয়ারমন্ট বলছেন, কারণ উড়ন্ত বিমানের চাকার খোপের ভেতরে আপনার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কেমন পরিবেশ হয় ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে?
মি. লিয়ারমন্ট বলছেন, ‘প্রথম চ্যালেঞ্জটা হলো, প্লেনটা আকাশে ওড়ার পর পরই যখন চাকাগুলো গুটিয়ে আবার খোপের ভেতরে ঢুকে যায়- সেই সময়টা। এ সময় ওই ভাঁজ হতে থাকা চাকাগুলো আপনাকে পিষে মেরে ফেলতে পারে।’ দ্বিতীয় ঝুঁকি : গরম আবহাওয়ায় বিমানের ব্রেকগুলো অসম্ভব উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং এর কাছে থাকা অবস্থায় আপনি গরমে ভাজাভাজা হয়ে মারা যেতে পারেন।
তবে ধরে নেওয়া গেল, আপনি ভাগ্যবান এবং এই প্রথম দুটো ঝুঁকি আপনি পার হয়ে এসেছেন। কিন্তু বিমানটি যখন আকাশে উড়ছে, তখন আপনার সামনে আরও দুটো ভয়ংকর বিপদ উপস্থিত। একটি হলো ঠান্ডায় জমে যাওয়া। দ্বিতীয়টি হলো অক্সিজেনের তীব্র অভাব।
মনে রাখতে হবে বিমানের ভেতরে যেখানে যাত্রীরা বসেন- সেখানে বাতাসের চাপ, অক্সিজেনের পরিমাণ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এত উচ্চতায়ও মানুষের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু বিমানের চাকার খোপে তা করা হয় না। দূরপাল্লার যাত্রায় বিমান ওড়ে অন্তত ৩৫,০০০ ফিট উচ্চতায়। সেখানে বিমানের বাইরের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। সেটা হচ্ছে এ্যান্টার্কটিকায় শীতলতম অংশে বছরের গড় তাপমাত্রার সমান। এই ঠা-ায় সাধারণ কাপড়চোপড় পরে মানুষের পক্ষে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকা কঠিন। তা ছাড়া বিমান যখন মাটি থেকে প্রায় ৬-৭ মাইল ওপর দিয়ে উড়ছে - সেখানে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম এবং বাতাসের চাপও খুব কম। তাই সে অবস্থায় শ্বাস নেওয়ার সময় মানুষের ফুসফুস ঠিকমতো ফোলে না এবং যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন নিতে পারে না। এটাও কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাওয়ার মতোই এক পরিস্থিতি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে বিআরটিসির বাস
ব্যক্তিগত গাড়ি নেই এমন একজন যাত্রী বাসে চড়ে উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকা থেকে (১ নং সেক্টর) থেকে মাত্র ১৮ মিনিটে পৌঁছে যাচ্ছেন সংসদ ভবন এলাকায়, বিষয়টি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসির বাস চালুর পরে এই রুটের যাত্রীদের দারুণ সুবিধা হয়েছে। ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) চালু হলো বাসসেবা। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো এ সেবা। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিসির এ বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সঙ্গে ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রথম বাস উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এই বাস অনেকটা ‘শাটল’ সার্ভিসের মতো। অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়ক কেন্দ্র করে চলবে। ফার্মগেটের খেজুরবাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরার জসীমউদ্দীন রোড হয়ে খেজুরবাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণ চলবে।
২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে ১১ কিলোমিটার উড়ালসড়ক পাড়ি দিতে ১২ থেকে ১৩ মিনিট লাগছে। কিন্তু এই উড়ালসড়কে বাস উঠছে না। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যাত্রী পাওয়া যায় না। কারণ, মাঝপথে বাসে ওঠানামার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য বিআরটিসির বাসগুলো কোথাও না থেমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে। ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে প্রতিটি বাসকে ১৬০ টাকা টোল দিতে হবে। তবে খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকাই থাকছে। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা দাঁড়াচ্ছে। ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও হবে না বলে জানিয়েছে বিআরটিসি সূত্র।
পরীক্ষামূলকভাবে আটটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু“হয়েছে। চাহিদা থাকলে আরও বাস বাড়ানো হবে। যাত্রীদের অবশ্য একটা অভিযোগ আমলে নিতে হবে। বাসের জন্য প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়া পর্যন্ত বাস ছাড়ছেও না। আশা করি ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসব!
ঢাকার কোনো এলাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে না, তার হিসাব নেওয়া বরং সহজ, কেননা বহু এলাকায় চলছে খননের মহোৎসব। মিরপুর, সেগুনবাগিচা, লালবাগ, চকবাজার, কদমতলী, গোপীপাড়া, ধানমন্ডি, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, গ্রিন রোড, মেরাদিয়া, মতিঝিল, শান্তিনগর, ফার্মগেট, রাজাবাজার, আজিমপুর ও জুরাইনের বিভিন্ন সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা পর্যন্ত রাস্তাটির করুণ দশা। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিক যাওয়ার রাস্তাটি কাটাকাটির পর আর ঠিক হয়নি। শান্তিনগর, চামেলীবাগ এলাকায়ও অনেক সড়ক কাটাকাটির কারণে চলাচলের অযোগ্য।
‘ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯’-এ উল্লেখ রয়েছে, রাজধানীতে দিনে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। বর্ষা মৌসুমেও (১ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) সড়ক কাটাকাটি করা যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে খনন করতে হলে ক্ষতিপূরণসহ ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। আর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে খননকাজ শুরু করলে জরিমানা গুনতে হবে মূল খরচের পাঁচ গুণ। তাছাড়া, মাইকিং করে এলাকার মানুষকে খননকাজ সম্পর্কে জানাতে হবে। আগেই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
পাশাপাশি সাইনবোর্ডে খননকাজ ও ঠিকাদার সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। নীতিমালায় আরও বলা হয়, রাস্তা খোঁড়ার কাজ মাসের পর মাস ফেলে রাখা যাবে না। রাতে খননের পর রাতেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। আগের মতো উপযুক্ত ও ঝকঝকে-তকতকে করে রাস্তাটি তৈরি করতে হবে, যেন বোঝার উপায় না থাকে রাস্তাটি কাটাকাটি হয়েছে। আর যুক্তিসংগত কারণে কাজ শেষ করতে না পারলে কমপক্ষে পাঁচ দিন আগে সিটি করপোরেশনের ওয়ান স্টপ সেলকে জানাতে হবে। কাজ শেষ করতে সাত দিনের বেশি সময় নিলে মূল খরচের এক শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে।
একটি জাতীয় দৈনিকে দুই রিপোর্টার অমিতোষ পাল ও লতিফুল ইসলামের প্রতিবেদন পড়ছিলাম সেদিন। রাজধানীর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে ভালো একটা প্রতিবেদন। জানলাম ছয় মাসের বেশি সময় ধরে হাতিরঝিলের রামপুরা থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কের একটি লেন খোঁড়াখুঁড়িতে তছনছ। রাস্তাটি কেটেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সম্প্রতি মাটি ফেলা হলেও রাস্তাটির কোথাও উঁচু কোথাও নিচু। কোথাও আবার বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলে এই সড়কে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাজউদ্দীন আহমদ সরণির হাতিরঝিল পয়েন্ট থেকে মগবাজার ক্রসিং পর্যন্ত খোঁড়া, গভীরতাও অনেক। যানবাহন যাতে গর্তে না পড়ে সেজন্য রাস্তার পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। শ্রমিকরা সেখানে পাইপ বসাচ্ছেন। এখানে সবসময় লেগে থাকছে যানজট।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩