ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতনতার বিকল্প নেই

নূরজাহান নীরা

প্রকাশিত: ২১:০০, ৩১ মে ২০২৩

সচেতনতার বিকল্প নেই

পৃথিবী পরিবর্তনশীল। আর এ পরিবর্তনের ধারায় অনেক কিছুর সঙ্গে নতুন নতুন রোগ-ব্যাধিও আমাদের মাঝে উপস্থিত হচ্ছে

পৃথিবী পরিবর্তনশীল। আর এ পরিবর্তনের ধারায় অনেক কিছুর সঙ্গে নতুন নতুন রোগ-ব্যাধিও আমাদের মাঝে উপস্থিত হচ্ছে। সেসব ব্যাধির মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরও একটি। এটি  মৌসুমি জ্বর। গ্রীষ্মের শেষ থেকে শীতের আগ পর্যন্ত এ রোগ থাকে। তবে বর্ষাতে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।  এটি মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত এডিস মশার কামড়ে এ জ্বর হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এ রোগে মানুষ বেশ আতঙ্কে থাকছে। বর্ষার শুরু থেকেই হাসপাতালগুলোতে চাপ বেড়ে যায় ডেঙ্গুরোগীর। এবার বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালে হাসপাতালে। যদিও সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে শতভাগ রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে না পারলে রোগী মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে।

তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে এ জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, দুর্বলতা, পিপাসা, অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বিশ্বের প্রায় ১১০টি দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। এ রোগের টিকাও অনেক দেশে বেরিয়েছে তবে একবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরাই সে টিকা নিতে পারবে। এডিস মশা দিনের বেলাতেই কামড়ায়। দিনে আমরা নানা কাজে থাকি, ঘরে বাইরে অফিসে যেখানে মশারি ব্যবহার সম্ভব নয়। তাই আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। ছাদে, বারান্দায়, ফুলের টবে, আমাদের আশপাশে ছোটপাত্রে যেখানে অল্প পরিষ্কার পানি জমে আছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেসব পানি ফেলে দিতে হবে।

যাতে মশা ডিম পাড়তে না পারে। পানি জমতে পারে এমন কিছু আশপাশে রাস্তায় ফেলে রাখা যাবে না। প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে সামর্থ্য অনুযায়ী। যদি আক্রান্ত হয়ে যায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। পর্যাপ্ত তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে রক্তের অনুচক্রিকা দ্রুত কমে যায়। রক্তের প্লাজমা ভেঙে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তেমন হলে রোগ মারাত্মক আকার নিয়েছে বুঝতে হবে। এমন হলে রোগী মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। আতংকিত না হয়ে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। সবার মাঝে সচেতনতা বাড়িয়ে ডেঙ্গু প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হবে।

ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ থেকে

×