ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইভিএম কেন নয়

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১ অক্টোবর ২০২২

ইভিএম কেন নয়

ইভিএম কেন নয়

বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়েছিল একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারায়। সিদ্ধান্তটি ছিল সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের কি লাভ বা ক্ষতি হবে এটি নির্ধারণ করতে না পারায় তৎকালীন নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাদের ধারণা ছিল এই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে। বিষয়টি বুঝতে আমাদের পরবর্তী সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বর্তমানে আমরা দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত।

শুধু তাই নয়, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য আমাদের নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট রয়েছে মহাকাশে। দেশের তথ্য পাচারের বদলে আমরা প্রযুক্তি খাতে সমৃদ্ধ হয়েছি। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিংয়ের কারণে আমরা ৪জি-৫জি প্রযুক্তিতে প্রবেশ করতে পেরেছি। একইভাবে আমরা বুঝে-না বুঝে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিরোধিতা করছি। সারাবিশে^ যে পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে আমরা এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে নানা অসম্ভব শঙ্কার কথা বলছি। আবারও পিছিয়ে যাচ্ছি প্রযুক্তির সুবিধা থেকে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইভিএম কি

আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই সনাতন পদ্ধতিতে ভোটারগণ কাগজের ব্যালটে সিল মেরে ভোট দিয়ে থাকেন। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে যুগে যুগে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ভোট কারচুপির সকল সুবিধা রয়েছে ব্যালট পদ্ধতিতে। জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, মিডিয়া ক্যু ইত্যাদি আরও অনেক অনিয়ম করা সম্ভব এই পদ্ধতির নির্বাচনে। অতীতে সকল নির্বাচনে এসব কারচুপির অভিযোগ শোনা গেছে।

নির্বাচনে যারা পরাজিত হন তারাই এই অভিযোগগুলো করে থাকেন। বিজয়ী দল অভিযোগ অস্বীকার করেন। কোন কোন সময় অভিযোগ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মামলা করেও খুব একটি সুবিধা হয় না। কোন অভিযোগই প্রমাণ করা যায় না। এসব কারণে বিশ^জুড়ে পরিবর্তন এসেছে। সনাতন ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোট দেয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। এখন বিশে^র প্রায় সব দেশেই বাটন টিপে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে।

প্রতিবেশী ভারতেও ভোট হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে। ভারতসহ বিশে^র কোন দেশেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তারা বলছেন, ইভিএম-এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা কারচুপি করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। বস্তবতা হচ্ছে উল্টো। প্রথাগত ব্যালটেই কারচুপির সুবিধা অনেক বেশি।
ইভিএম পদ্ধতিতে নির্ধারিত কক্ষে প্রিসাইডিং অফিসার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর যাচাই করেন। এ সময়  ছবিসহ সকল তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হয়। সকল প্রার্থীর এজেন্ট ভোটারের পরিচয় দেখতে পারেন। ভোটার হিসেবে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হয়। যতটা পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে ঠিক ততটা ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা হয় গোপন কক্ষে। এতে বাম পাশে প্রার্থীদের প্রতীক এবং ডানপাশে নাম দেখা যায়। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বামপাশের কালো বাটনে চাপ দিতে হয়।

প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠলে ডানপাশের সবুজ বাটনে চাপ দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে হয়। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট দেয়া হয়। কোন কারণে ভুল প্রতীক শনাক্ত করে ফেললে সবুজ বাটন চাপ দিয়ে তা সংশোধন করার সুযোগ থাকে। আবার সবুজ বাটন চাপ দিয়ে ভোট নিশ্চিত করার পর বাকি সব প্রতীকগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। একটি ইভিএম মেশিনে চার হাজার পর্যন্ত ভোট নেয়া যায়। সর্বোচ্চ ৬৪ প্রার্থীর তালিকা থাকতে পারে। বাটন চাপ দিয়ে অক্ষরজ্ঞানহীন ব্যক্তিও ভোট দিতে পারে। সব ঠিক থাকলে একটি ভোট দিতে আনুমানিক ১৪ সেকেন্ড সময় লাগে। এটিই মোটামোটি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার পদ্ধতি।

বাংলাদেশে ইভিএমের ধারণা

বিশে^র বিভিন্ন দেশে অনেক আগে ইভিএম চালু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ইভিএম চালু হয় ১৯৬৪ সালে। ভারতের কেরালা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম চালু করা হয় ১৯৮২ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছিল অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে ২০০৭ সালে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম চালুর চিন্তা করা হয় প্রথম শামসুল হুদা কমিশনের আমলে। এমএ সাইদ কমিশনের একটি নোটে বাংলাদেশে ইভিএম চালুর কথা বলা হয়েছিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে শামসুল হুদা কমিশন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখালে কমিশন ইভিএম নিয়ে এগোতে থাকে। ইভিএম মেশিন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয় বুয়েটকে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে ইভিএম তৈরি শুরু হয়। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয় ২০১০ সালে। পরে আরও দুটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয় এই পদ্ধতিতে। শামসুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে ইভিএম প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। রাকিব উদ্দিন কমিশন এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি। কেএম নুরুল হুদা কমিশন আবারও ইভিএম নিয়ে কাজ শুরু করে।

আগের পদ্ধতির কিছু অসুুবিধা দূর করে নুরুল হুদা কমশিন ৬টি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করে। হাবিবুল আউয়াল কমিশন ক্ষমতা নেয়ার পর ইভিএম নিয়ে নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সকল আসনে ইভিএম মেশিনে ভোট নেয়ার পক্ষে মত দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন এই বিশাল আয়োজনে অসামর্থ্যরে কথা জানিয়ে আগামী নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিরোধিতার কারণ
 
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এই মেশিনের মাধ্যমে মুহূর্তেই ভোটের ফল পাল্টে দেয়া যায়। তাদের বক্তব্যের সপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলেও বিষয়টি তারা নিয়ে এসেছেন রাজনীতির মাঠে। বিগত ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনেও প্রমাণ করতে পারেননি যে ইভিএম ভোটে কারচুপি সম্ভব।

এরপরও ইভিএম বিরোধিতা উঠে এসেছে তাদের বক্তৃতা বিবৃতি এবং সেøাগানে। ‘মানি না, মানব না’ সেøাগান দিয়ে তারা সনাতন ব্যালট পদ্ধতিতেই ভোট দাবি করছেন। বিএনপি অবশ্য আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছে, তারা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন আলোচনাও করতে রাজি নয়। রাজনৈতিক অবস্থানের বাইরে গিয়েও তারা ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।
সুশীল সমাজের একটি অংশও ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন। জেনে-বুঝে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি হতে পারে এমন শঙ্কার কথা বলতে না পারলেও তারা ভোট গ্রহণে বিলম্বের কথা বলছেন। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তারা বলছেন, এতে আঙ্গুলের ছাপ নেয়ায় জটিলতা এবং ভোটারদের অজ্ঞতার কারণে ভোট গ্রহণে আরও দেরি হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ভোট গ্রহণ শেষে গণনার (কাউন্টিং) জটিলতায় কাক্সিক্ষত দ্রুত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারও কারও মতে,  ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপির আশঙ্কা যখন বিরোধী দলের ‘মাইন্ড সেট’ বা মানসিকতা হয়ে গেছে, তখন এই পদ্ধতিতে যাওয়ার প্রয়োজন কি। সনাতন পদ্ধতিতেই ভোট হলে এই বিতর্ক এড়ানো যাবে। কেউ আবার বলছেন, ইভিএম একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি। অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় এই ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে না গিয়ে কম খরচে নির্বাচন করাই ভাল।

কেন ইভিএম পদ্ধতি

সম্প্রতি একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে ইভিএম পদ্ধতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পক্ষ ও বিপক্ষ মতের ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। দেশের স্বনামধন্য তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞান গবেষক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপি অসম্ভব। এই মেশিনে কোন ডিভাইস কিংবা ক্যাবলের মাধ্যমে প্রবেশ করে ভোটের ফল বদলে দেয়া সম্ভব নয়। আগে থেকে কোন প্রোগ্রামিং করে রেখেও ভোটের ফলে প্রভাব বিস্তার অসম্ভব।

মেশিনটি এতটাই স্বচ্ছ, যে কোন সাধারণ মানুষ এটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আগের মেশিনগুলোতে ভোট গ্রহণ ও গণনায় বিলম্বের কারণ চিহ্নিত করে এগুলো সমাধানেরও চেষ্টা করা হয়েছে। মূলত আঙ্গুলের ছাপ মিলাতে গিয়েই বিলম্ব হয়েছে বেশি। দিনমজুর কিংবা গৃহিণীরা সার্বক্ষণিক কাজ করার কারণে অনেক সময় আঙ্গুলের ছাপ ক্ষয় হয়ে যায়। ইভিএম মেশিন এই ছাপ নিতে চায় না। একজন বারবার চেষ্টা করেন বলে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমেই এই সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এজন্য আর সময় নষ্ট হবে না বলেও তারা মন্তব্য করেন।

বিপরীত মতাবলম্বী আলোচকরাও এসব যুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তারা বলতে চেয়েছেন, এর বিরুদ্ধে ‘মাইন্ড সেট’ যখন রয়েছে তখন এই পদ্ধতিতে যাওয়ার প্রয়োজন কি?
এসব যুক্তি খুব একটা গ্রহণযোগ্য হয় না। কারও ‘মাইন্ড সেট’ থাকলেই প্রতিযোগিতার বিশে^ আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে এটি হতে পারে না। না জেনে, বুঝে এমন মাইন্ড সেটের কারণে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল ভা-ার থেকে অনেক বছর পিছিয়ে ছিলাম। তথ্যপ্রযুক্তির গতি কাজে লাগিয়ে বিশ^ এগিয়ে যাচ্ছে ত্বরিতগতিতে।

একটি ভুল ধারণার কারণে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন? সুন্দর পরিবেশে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার জন্য ইভিএম খুবই নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। মানুষের প্রকৃত ভোটাধিকার নিশ্চিত করে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। যোগ্য নেতৃত্বই পারে দেশের উন্নয়নের পথকে মসৃণ ও প্রশস্ত করতে। যেকোন নতুনের মধ্যেই থাকে হাজারো জিজ্ঞাসা ও সন্দেহ। দেশে অতীতে ঘটে যাওয়া বহুবিধ ঘটনার প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষের সন্দেহ রয়েছে।

হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসন থেকে শুরু করে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন, রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, রক্তপাত আর রক্তের বন্যা প্রবাহিত করে নেতা হওয়া কিংবা প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রের ধারে-কাছে ঘেঁষতে না দেয়া সবই ঘটেছে এই দেশে। মানবসৃষ্ট এসব দুর্নীতির সকল চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া যায় ইভিএম পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে কোনভাবেই কেন্দ্র দখল করে ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। তাই দাঙ্গা-হাঙ্গামা আর রক্তপাতেরও  আশঙ্কা থাকে না।
বাংলাদেশ দ্রুত এগোচ্ছে উন্নয়নের পথে। অতীতের সকল ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে আমাদের লক্ষ্য উন্নত দেশ গড়ে তোলা। লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, যা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই ইভিএম পদ্ধতিকে ঘিরেই একটি সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যায়। ইভিএমই কেবল পারে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে। ভোটের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে দিয়ে সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণায় আমাদের চলমান আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে ইভিএম হবে নতুন একটি সংযোজন। এর বিরোধিতা করে সমাজ ব্যবস্থাকে পিছিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×