
ছবিঃ সংগৃহীত
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হলে অর্থের অভাব কোনো বাধা নয়। তিনি উল্লেখ করেন, “আপনাদের যেটা অর্থের সংস্থা, সেটা যদি ভালোভাবে প্রজেক্ট ভিত্তিকভাবে ফর্মুলেট করা যায়, তাহলে সাফল্য নিশ্চিত।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে পিকেএসএফ (পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন)-এর কথা বলেন, যেখানে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জানান, “আমার আসার আগে সরকার খুব অল্প টাকা দিত—১০০ কোটি, ২০০ কোটি টাকা। আমি আসার পরে প্রথমে ১৮ মিলিয়ন ডলার, এরপর সেটা বেড়ে ১৮০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়। এখন পিকেএসএফ-এ অর্থের অভাব নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এডিপি (Annual Development Program) ও ইএফএফ (Extended Fund Facility)-এর বার্ষিক মিটিংয়ে গিয়েছিলাম, যেখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি বলার পরপরই তিনি সাড়া দেন এবং পরবর্তী মাসে আরও অর্থ বরাদ্দ দেন। এতে বোঝা যায়, তারা (ডোনার সংস্থাগুলো) আমাদের কার্যক্রম ও প্রজেক্টের কার্যকারিতা বুঝেছে এবং আস্থা রাখছে। এটা ওয়ার্ল্ড ক্লাস পারফরম্যান্সের নিদর্শন।”
তিনি আরও বলেন, “এসএম ফাউন্ডেশন এখন ভালো কাজ করছে। আমি আশা করব, ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতে আরও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবে। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, কিন্তু একটি সংগঠনের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। এসএম ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে বহু উদ্যোগ নিয়েছে।”
তিনি জানান, তিনি বহু আগেই একটি গবেষণাপত্র লিখেছিলেন যা মন্ত্রীসহ অনেকেই শুনেছেন। সেই পেপারের মূল ফোকাস ছিল নীতিমালা (Policy) ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো (Regulatory Framework)।
“নীতিগুলো অনেক সময় প্রকৌশলীরা তৈরি করেন না, ফলে ত্রুটি থাকে। ছোট ছোট সংস্থা মনে করে, নিয়ন্ত্রণ শুধু বড় সংস্থার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু যখন আমরা বসুন্ধরা বা বিএসআর-এর মতো বড় সংস্থাগুলোর দিকে তাকাই, তখন দেখি রিপোর্টিং ও অডিটিং প্রক্রিয়া অনেক কঠিন।”
তিনি বলেন, “তবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও স্বচ্ছতা কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়। এসব ঠিক থাকলে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন সম্ভব।”
মারিয়া